স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করা ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আজ শনিবার দলটির সাংগঠনিক সম্পাদকদের এক যৌথসভায় বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে। শুধু বিদ্রোহী প্রার্থী নয় ইন্দনদাতা ও সহায়তা করা মন্ত্রী, এমপি, নেতারাও শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন।
আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদকরা যৌথসভায় অভিযুক্ত নেতাদের আত্মপক্ষ সমর্থন করে দেয়া বক্তব্য শুনবেন। তারপর কার বিরুদ্ধে কী ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক নাম প্রকাশ না করার শর্তে টোয়েন্টিফোর লাইভ নিউজপেপারকে বলেন, যৌথসভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্ত নেতা ও মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয়া হবে। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে তাদের এ নোটিশের জবাব দিতে হবে। যারা নোটিশের জবাব দেবেন, তাদের জবাবের ওপর ভিত্তি করে সাংগঠনিক শাস্তি নির্ধারণ করা হবে। তবে যারা শোকজের জবাব দেবেন না, তাদের দল থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত নেতা ও মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে কী ধরনের এবং কার বিরুদ্ধে কী শাস্তি হতে পারে, সে বিষয়ে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আলোচনা হয়েই আছে। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠক শেষে নেতারা জানান, বিদ্রোহী প্রার্থীদের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে। শিগগিরই অভিযুক্তদের কাছে এ-সংক্রান্ত চিঠি ডাকযোগে পাঠানো হবে।