ব্রিটিশ পতাকাবাহী একটি তেল ট্যাংকারকে হরমুজ প্রণালী থেকে আটক করেছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি)। আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন না মানায় ওই তেল ট্যাংকারটি ২৩ ক্রু’সহ আটক করা হয় বলে শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানায় আইআরজিসি’র জনসংযোগ দপ্তর।
বিবৃতিতে ‘স্টেনা ইমরো’ নামের ওই তেল ট্যাংকারটি আটকের পেছনে আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইনসহ তিনটি আইন লঙ্ঘন কথা উল্লেখ করা হয়। আইন তিনটি হলো- ট্যাংকারটি আন্তর্জাতিক পানিসীমা থেকে বেরিয়ে ইরানের পানিসীমায় ঢুকে পড়েছিল। এটি নিজের শনাক্তকরণ যন্ত্রপাতি বন্ধ করে রেখেছিল, যেন ট্যাংকারটিকে অন্য কেউ শনাক্ত না করতে পারে এবং আইআরজিসি’র পক্ষ থেকে ট্যাংকারটিকে বারবার সতর্ক করা হলেও তারা সেটি গ্রাহ্য করা হয়নি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আটক করা ব্রিটিশ তেল ট্যাংকারটিকে ইরানের উপকূলে নিয়ে আসা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়াগুলো খতিয়ে দেখতে এবং ট্যাংকরটির ভেতরে তল্লাশি চালানোর জন্য এটিকে হরমুজগান প্রদেশের বন্দর ও নৌচলাচল বিষয়ক সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতেই একাধিকবার জরুরি বৈঠকে বসে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা। বৈঠক শেষে তেলের ট্যাংকার আটকের ঘটনাকে ‘অগ্রহণযোগ্য কর্মকাণ্ড’ বলে উল্লেখ করা হয়।
ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, এই ঘটনার মাধ্যমে ইরান আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথে স্বাধীনভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। তবে লন্ডন এ ব্যপারে আরও বেশি তথ্য সংগ্রহ এবং সার্বিক পরিস্থিতি মূল্যায়নের চেষ্টা করছে।
এদিকে হরমুজ প্রণালী থেকে আরও একটি তেল ট্যাংকার আটকের খবর দিয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেন, ট্যাংকার দুটিকে ছেড়ে না দিলে তেহরানকে কঠোর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। তবে সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য তেহরানের সঙ্গে কূটনৈতিক ব্যবস্থায় যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে ইরানের সংশ্লিষ্ট সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে প্রেসটিভি জানায়, হরমুজ প্রণালী থেকে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী ‘মাসদার’ নামের যে দ্বিতীয় ব্রিটিশ তেল ট্যাংকারটিকে আইআরজিসি আটক করেছিল, তারা সেটির কাগজপত্র ও গতিপথ পর্যালোচনা করে ছেড়ে দিয়েছে