জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মঙ্গলবার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেছউচ্চ্ আদালত। রোববার (২৮ জুলাই) খালেদার আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এই শুনানির দিন ধার্য করেন।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, এর আগে এ মামলায় হাইকোর্ট নথি তলব করে। মামলার নথি নিম্ন আদালত থেকে এসেছে। এখন আমরা জামিন শুনানির জন্য আবেদন জানিয়েছি। আদালত আগামী মঙ্গলবার দিন ধার্য করেছেন।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই দণ্ড দেওয়া হয় তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীসহ আরো তিনজনকে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর দেওয়া এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। পাশাপাশি জামিন চেয়ে আবেদন দেন।
গত ৩০ এপ্রিল বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ ঐ আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে মামলার নথি দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে প্রেরণের জন্য বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে নির্দেশ দেন।
আদালত বলে, নথি আসা সাপেক্ষে জামিন আবেদন শোনা হবে। দুই মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ২০ জুন নথি হাইকোর্টে আসে। এ অবস্থায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানির জন্য উত্থাপন করা হয়।
খালেদার পক্ষে আদালতে ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, দুটি দুর্নীতির মামলায় ১৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দী আছেন বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান বিএনপি নেত্রী।
পরবর্তীকালে হাইকোর্ট এই মামলায় তার সাজা ৫ বছরের পরিবর্তে দশ বছর করে দেয়। এই সাজার বিরুদ্ধে তার আপিল সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন।
চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন খালেদা জিয়া। (নিউজ ডেস্ক)