নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর জন্যই একটি গোষ্ঠী এই ছেলে ধরাকে নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।তাই সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেই ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে আমরা মাইকিং করিয়েছি। আপনাদের আশে পাশে যদি এই ধরনের ঘটনা ঘটে বা সন্দেহ হয় তাহলে পুলিশকে খবর দিবেন।
রোববার (২১ জুলাই) দুপুরে চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমসাময়িক “ছেলেধরা” গুজব ছড়ানো বিষয় জনগণকে সচেতন করার উদ্দেশ্যে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, একটি গোষ্ঠী ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টায় এই অপ-প্রচার চালাচ্ছে। গতকাল সিদ্ধিরগঞ্জে নিরহ এক বাক প্রতিবন্ধী যুবককে গণপিটুনিতে মারা হয়ে। পাশাপাশি একজন মহিলা কেউ মারধর করা হয়েছে। আজকেউ ফতুল্লায় এ ঘটনা ঘটেছে।ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এযাবৎ পযর্ন্ত ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদেরকেও আটক করা হবে। যারা এই গুজব ছড়িাচ্ছেন তাদের সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, এলাকার কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এই গুজব ছড়াচ্ছেন। আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। সেই তদন্ত অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। যারা এই গুজবে জড়িত তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে। কিছু কিছু জনপ্রতিনিধিও এই গুজবে জড়িয়ে যাচ্ছেন। আমরা তাদেরকে বিনীতভাবে অনুরোধ করবো তারা যেন এসব গুজবে না গিয়ে এলাকার প্রত্যেক মানুষকে বুঝানোর চেষ্টা করে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা ওসি কামরুল ইসলাম ও ফতুল্লা থানা ওসি আসলাম হোসেন সহ প্রমুখ।