দেশের বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের পাশে থাকার ঘোষণা দেয়ার পরও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার কোনো ত্রাণ দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রোববার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে খাদ্য ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকটে হাহাকার করছেন। ত্রাণের জন্য লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো ত্রাণ পাচ্ছেন না বন্যাকবলিত মানুষ।
তিনি বলেন, গত দুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী তাদের দলীয় সভায় বন্যাদুর্গতদের পাশে থাকার ঘোষণা দিলেও এখনও পর্যন্ত ত্রাণ তৎপরতার কোনো উদ্যোগই দেখা যায়নি।
‘মিথ্যা চিৎকারসর্বস্ব দল আওয়ামী লীগ। অসংযমী ভাষণ, উদ্ভট মন্তব্য, অনাবশ্যক কটুকথা দলটির সংস্কৃতি। দুর্ভিক্ষ, দুর্যোগ, দুর্বিপাক ও দুর্নীতি ছাড়া জনস্বার্থে ভালো কিছু করার ঐতিহ্য আওয়ামী লীগের নেই। আওয়ামী নেতারা শুনে কম, কিন্তু বলে বেশি। তারা দেশব্যাপী মহাপ্লাবনের বিপর্যয় নিয়ে ছলচাতুরি করছেন।’
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, দেশের উন্নয়নের জোয়ার মানুষ দেখেনি, মানুষ দেখছে বন্যা ও বৃষ্টির পানিতে শহর তলিয়ে যাওয়ার দৃশ্য। এক মাসে চট্টগ্রাম নগরী ডুবেছে পাঁচ বার, আর রাজধানী ঢাকার মানুষ বৃষ্টির পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
তিনি বলেন, উজানের পানি ও প্রবল বর্ষণে সারা দেশ এখন পানিতে ভাসছে। লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সিলেটসহ তিন পার্বত্য জেলার বাসিন্দারা এখন পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
‘বন্য বিস্তৃত হয়ে দেশের মধ্যভাগসহ প্রায় সব জেলা আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বন্যা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে। একদিকে বসতবাটি তলিয়ে গেছে, গবাদিপশু ও ক্ষেতের ফসল ভেসে গেছে।’ এ সময় দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশের বিত্তবান মানুষকে বন্যা উপদ্রুত এলাকায় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আহ্বান জানান রিজভী।