আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়া হত্যার পর সবচেয়ে বেশি বেনিফিসিয়ারি ও লাভবান হয়েছেন তারেক রহমানের মা খালেদা জিয়া। তিনি দুইবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিএনপির মতো একটি দলের চেয়ারপার্সন হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপির ঊর্ধ্বতন নেতারা জড়িত কি না- তা দেখা দরকার।
শনিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় বিএনপি দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকার পরও কেন জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার করল না- সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলে হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া দুইবারে ১০ বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি জিয়ার হত্যাকাণ্ড নিয়ে মামলা করলেন না কেন? মামলাটা চালালেন না কেন? এর রহস্য কী তা জানতে হবে।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, জিয়াউর রহমান তার ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য হাজার হাজার সেনা অফিসারকে হত্যা করেছেন। ছুটিতে থাকা সেনাবাহিনীর অফিসারকে ধরে এনে ফাঁসি দেয়া হলো। তারা জানলোও না কী কারণে তাকে ফাঁসি দেয়া হচ্ছে। এভাবে বিনা বিচারে সেনাবাহিনীর শত শত অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি- জিয়া পঁচাত্তরের ১৫ আগষ্ট হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একটি কমিশন গঠন করে যারা ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত তাদের বিচার করা প্রয়োজন। তা হলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সমালোচনা করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির এতো দৈন্যদশা যে একজন নেতাও খুঁজে পেল না। তাই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি, দুর্নীতি মামলার আসামি তারেক রহমানকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করল।
তিনি (তারেক রহমান) সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপাড়ে বসে নানা কথা বলেন। রাজনীতি করতে হলে সাহস থাকতে হয়। রাজনীতি করলে হলে বুলেটের সামনে দাঁড়াতে হয়। যে পারে না, সেই রাজনীতিবিদ দলের নেতৃত্ব দিলেও পারে না। সেই রাজনীতিবিদ সঠিক রাজনীতিবিদ নয়, বলেন তিনি।