জয়পুরহাটে নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকের শাটার খুলতে নেমে একে একে ছয় জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার জাফরপুর হিন্দুপাড়া গ্রামে নিখিল চন্দ্র মহন্ত নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। গুরতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও একজন।
নিহতরা হলেন- বাড়ির মালিক নিখিল চন্দ্র মহন্তের ছেলে প্রিতম চন্দ্র মহন্ত (২০), তার কাকাতো ভাই ভুট্ট চন্দ্র মহন্ত (৪৫), নির্মাণাধীন সেপটিক ট্যাংকের প্রধান মিস্ত্রি শাহিন আকন্দ (৪৩), তার সহকারী সিহাব হোসেন (১৮), মুকুল হোসেন (৪৫) ও সজল হোসেন (১৬)। এছাড়া গুরুতর অসুস্থ হয়ে নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন দিলীপ চন্দ্র মহন্ত (৫৫)।
গ্রামবাসী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে নিখিল চন্দ্র মহন্তের বাড়িতে একটি টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকের নির্মাণ কাজ শেষ হয়। আজ বুধবার সকালে নির্মাণ শ্রমিকরা সেই ট্যাংকের শাটার খুলতে আসেন। প্রথমে ট্যাংকের ঢাকনা খুলে মিস্ত্রির একজন সহকারী ভিতরে নামেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় পর্যন্ত তার কোন সাড়াশব্দ না পাওয়ায় প্রধান মিস্ত্রি নিজেই ট্যাংকের ভিতরে নামেন। এ সময় তিনি সহকারীকে ট্যাংকের ভিতরে পানিতে পড়ে থাকতে দেখেন। কিন্তু তাকে উদ্ধার করার আগে নিজেই ঢলে পড়েন। প্রধান মিস্ত্রি ও সহকারীকে উদ্ধার করতে এরপর আরও পাঁচজন ভেতরে নামেন। কিন্তু কেউই আর উপরে উঠে আসতে পারেননি।
খবর পেয়ে আক্কেলপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় তারা ট্যাংকের ভেতর থেকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় একজন এবং বাকি ছয়জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের দলটি ট্যাংকের ভেতরে থাকা পানি অপসারণ করে।
সেপটিক ট্যাংকের ভেতর ছয়জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে আক্কেলপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা বজলুর রশিদ জানান, নির্মাণাধীন ট্যাংকের মুখটি এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ ছিল। তাই ভেতরে জমে থাকা বিষাক্ত গ্যাসের কারণে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে।