প্রথম পর্বে মাত্র একটি ম্যাচ হারা ভারত সবার আগে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছিল। সেমিতে প্রতিপক্ষ হিসেবে নিউজিল্যান্ডকে পাওয়াতে ‘ফাইনালে উঠে গেছি’ এমটা ভাবতেও শুরু করেছিল ভারতীয়রা। প্রথমে বোলিং করে নিউজিল্যান্ডকে ২৩৯ রানে আটকে রেখে এই ভাবনাটা আরও একধাপ এগিয়ে নিয়েছিল ভারত। কিন্তু শেষমেষ ফিরতে হলো বড় যন্ত্রণা নিয়ে।
শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮ রানে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ভারতকে। এসব নিয়ে পুরো ভারতজুড়ে যখন হায়-হুতাশ তখন ভয়াবহ এক খবর প্রকাশ করল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘জাগরণ’। সাংবাদ মাধ্যমটির এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় দলে অন্তঃকলহ চলছে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় দল এখন দুই দলে বিভক্ত। এক দলের নেতা অধিনায়ক বিরাট কোহলি অপর দলের নেতা রোহিত শর্মা। এছাড়া হেড কোচ রবি শান্ত্রী এবং বোলিং কোচ অরুনের ওপর নাখোশ দলের বেশ কিছু ক্রিকেটার। কোচিং স্টাফের পরিবর্তন আবশ্যক মনে করছেন ওই ক্রিকেটাররা।
অধিনায়ক কোহলি এবং কোচ রবি শাস্ত্রী নাকি অন্যদের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করার সুযোগও নেই। কারণ সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক নিযুক্ত বিসিসিআই-প্রধান বিনোদ রাইয়ের সঙ্গে কোহলির সক্ষতা বেশ গাড়। নির্বাচক কমিটিও কোহলি-শাস্ত্রীকে থামাতে পারছে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরাট কোহলির গ্রুপের বলে ভালো পারফর্ম না করেও বিশ্বকাপে নিয়মিত একাদশে জায়গা পেয়েছেন লোকেশ রাহুল। বিশ্বকাপের আগে চার নম্বরে দারুণ ক্রিকেট খেললেও বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পাননি আম্বাতি রাইডু। এছাড়া ভারতের দুই স্পিনার যুগবেন্দ্র চাহাল ও কুলদ্বীপ যাদবের মধ্যে চাহাল বরাবরই বেশি সুযোগ পান। তার বড় কারণ চাহালের ওপর কোহলির সু-দৃষ্টি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা এখন বিশ্বাস করেন দলে টিকে থাকতে হলে হয় কোহলির গ্রুপে যোগ দিতে হবে না হয় রোহিত শর্মা ও জাসপ্রিত বুমরাহর মতো নিয়মিত পারফরমার হতে হবে।