জন্মের পর থেকেই কঠিন রোগে ভুগছিল শিশুটি। এ হাসপাতাল থেকে ও হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু সুস্থ হয়নি কয়েক দিন বয়সের শিশুটি। শেষমেষ শিশুটিকে নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বাবার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে।
ভারতীয় গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, কয়েকদিন আগে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ের বাসিন্দা নির্মল সতপতির স্ত্রী। জন্মের পর থেকেই বিভিন্ন ধরনের কঠিন অসুখে ভুগছিল শিশুটি।
প্রাথমিকভাবে শিশুটিকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজ ও পরে কলকাতার একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু শিশুটি পুরোপুরি সুস্থ হয়নি।
গতকাল শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ শিশুটিকে বাঁকুড়ার গন্ধেশ্বরী নদীর ওপরে একটি সেতু থেকে নিচে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনাটি দেখে ফেলেন কয়েকজন বাসিন্দা। তারা ধরে ফেলেন ওই ব্যক্তিকে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পাঁচ ঘণ্টা ধরে নদীতে তল্লাশিও চালানো হয়। অবশেষে মৃত শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ।
খবরে বলা হয়েছে, এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। শিশুটির বাবা ও অন্য একজনকে আটক করে জেরা করছে পুলিশ।
তবে অভিযুক্তদের দাবি, কলকাতা থেকে শিশুটিকে বাঁকুড়ায় নিয়ে আসার পথেই মারা যায়। মৃতদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়নি তারা। তাই ওই শিশুটিকে রাস্তার মাঝে গন্ধেশ্বরী নদীর সেতু থেকে ছুড়ে ফেলা হয়েছিল। ( নিউজ ডেক্স)