মাছ উৎপাদানে আমরা প্রথম স্থান অর্জন করতে চাই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেটে অবস্থিত কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ মিলনায়তন জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০১৯ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। এবারের মৎস সপ্তাহের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘মৎস্য চাষে গড়বো দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।
সকলকে মাছ চাষের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি বাড়ির আশপাশে বিভিন্ন ধরনের জলাশয়, পুকুর ও ডোবা রয়েছে। সেগুলো এমনিতেই ফেলে না রেখে সকলকে পরিকল্পিতভাবে মাছ চাষ করতে হবে। এছাড়া নদী-নালা, হাওর, বাওর, বিল, ঝিলেও পরিকল্পিতভাবে মাছ চাষের উদ্যেগ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে আমরা দেশে খাদ্যের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। এখন পুষ্টির দিকে নজর দিতে হবে। কারণ মাছের চাইতে নিরাপদ আমিষ আর কোন কিছুতে নেই। তাই আমাদের মাছ উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বর্তমানে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আগামীতে যেন মিষ্টি পানির মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ প্রথম স্থান অর্জন করতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে দেশের জলাশয়গুলোতে পরিকল্পিতভাবে মাছ চাষ করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণভবনের লেকের পানিতে মাছের পোনা অবমুক্ত করে সকলকে মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। পরিকল্পিতভাবে মাছ উৎপাদন করতে পারলে দেশে আমিষের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা যাবে। তাই দেশে মাছের উৎপাদন বাড়ানো এবং কোয়লিটি সম্পন্ন মাছ বিদেশে রপ্তানি করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা আরও বলেন, ‘জাল যার জলা তার’ এই ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন জলাশয় জেলেদের বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। সেসব জলাশয়ে জেলেরা মাছ উৎপাদন করে দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা মেটাচ্ছে। পাশাপাশি মাছ উৎপাদন বাড়াতে বাগেরহাটে চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্র এবং সিরাজগঞ্জ, গোপালগঞ্জ ও চাঁদপুরে ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা হয়েছে। এর বাহিরে মাছের উৎপাদন আরও বাড়াতে হাওরে পরিকল্পিতভাবে মাছ চাষের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।