নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা কুতুবপুর লামাপাড়ার ভয়ংকর এক সন্ত্রাসীর নাম চুন্নু। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, জমিদখল, অশ্র ও মাদকের একাধিক মামলা রয়েছে। চলতি বছরের ২০ এপ্রিল অশ্র ও মাদক সহ তার নিজ বাড়ী থেকে আটক করে ফতুল্লা থানা পুলিশ।
বতর্মান সে কারাগারে থাকলেও বন্ধ হয়নি তার আধিপত্য বিস্তারের একক নিয়ন্ত্রন।চুন্নু গ্রেফতার হওয়ার পর তার ভায়রা শরীফ আধিপত্যকে ধরে রাখতে এলাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসীদের অশ্র সহ মহড়া দিয়েছেন।তার সাথে রয়েছে বাদশা, তোফাজ্জল, রানা ও জনি।
যারফলে কুতুবপুর লামাপাড়া এলাকায় চিহ্নিতহ মাদক ব্যবসায়ী চুন্নু জেল হাজতে আটক হলেও এই চার খলিফার নিয়ন্ত্রনে চলছে মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজী, ভূমিদস্যুতা সহ নানা অপকর্ম।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, চুন্নুর কারণে নয়ামাটি, লামাপাড়া এলাকায় কেউ নতুন বাড়ি করতে সাহস পায়না। তাকে মোটা অংকের টাকা চাঁদা না দিলে কেউ বাড়ি বা ফ্যাক্টরীতে একটি ইটও লাগাতে পারেনা। নতুন জমি কিনতে হলেও চুন্নুকে মোটা টাকা দিতে হয়।
জমি বেচাকেনা সবকিছুইর নিয়ন্ত্রণই চুন্নু বাহিনীর হাতে। আশেপাশের এলাকায় জমির দাম বাড়লেও চুন্নু বাহিনীর কারণে এলাকায় এখনও জমির দাম অনেক কম। ভূমিদস্যুতার পাশাপাশি চুন্নু এবং তার বাহিনীর মূল ব্যবসা এখন ইয়াবা।
একসময় চুন্নু বাহিনী প্রকাশ্যেই ফেনসিডিলের ব্যবসা করতো। নয়ামাটি লামাপাড়া এলাকাটি শীর্ষ মাদকের আস্তানা। প্রায় প্রতিরাতেই এখানে মাদকের চালান আসে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
সন্ত্রাসী চুন্নুর চার খলিফার কিছু মামলার বিবরন, ২০০৩ সালে কুতুবপুর মির হোসেনের বাড়ী থেকে অশ্র সহ শরিফ, তোফাজ্জলকে আটক করে ফতুল্লা থানা পুলিশ। কুতুবপুর নয়ামাটি এলাকার আম্বর আলীর স্ত্রী নাজমা বেগম ২০১৫ সালের ২২ আগষ্ট ফতুল্লা মডেল থানায় মারপিট, জখম, শ্লীলতাহানি, প্রাণ নাশের হুমকী, চুরির অভিযোগ এনে শরীফ, বাদশা, তোফাজ্জল, রানা সহ আরো একাধিক ব্যক্তির নাম উল্লেখ্য করে মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৬৬। ২০১৬ সালের ২রা আগষ্ট র্যাব-১১ এর অভিযানে বিপুল পরিমান মাদক ও বিক্রির নগদ অর্থ সহ আটক হয় বাদশা, শামীম, মামুন সহ চার জন ব্যবসায়ী।
এছাড়াও, ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর র্যাব-১১ এর অভিযানে মাদক বিক্রির নগদ অর্থ ও মাদক সহ আটক হয় শরিফ ও বিল্লাল এসময় তাদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মাদক মামলা রুজু করা হয়।
অপরদিকে, ২০১৮ সালের ২১ জুলাই চুরির মামলায় শরীফ সহ আরেও একাধিক অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
এছাড়াও একাধিক বার জেলা গোয়েন্দা, পুলিশ, র্যাব, ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের হাতে মাদক ও অশ্র সহ চুরির মামলায় তাদেরকে আটক করা হয়ে ছিলো।