সিদ্ধিরগঞ্জ থানার শ্লীলতাহানি ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মো. সাদরিল সহ মোট ১০ জনের রিমান্ড না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরন নির্দেশ করেছে আদালত। রবিবার (২১ জুলাই) সকালে আসামীদের বিরুদ্ধে ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে আসামীদের আদালতে তুললে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নুরুন্নাহার ইয়াসমিন এর আদালত এ রিমান্ড না মঞ্জুর করেন।
আসামীরা হলেন, কাউন্সিলর গোলাম মো. সাদরিল (৩৫), মো. হাফেজ আহম্মেদ (৩২), মো. খাইরুল ইসলাম (২৮), তানভির সিদ্দিকী (২৩), মো. রাব্বি (২৮), মো. কুদ্দুস (২৫), মো. শাকিল (২২), মো. নাজমুল হোসেন (৩৪), মো. মোসলেম উদ্দিন (৫৩) ও মো. ফয়েজ (২৩)।
মামলার এজাহারে জানাযায়, সিদ্ধিরগঞ্জের ওমরপুরের কালুর বাড়ির চারতলার ভাড়াটিয়া সালমা বেগম ও হাফেজ আহমেদ দম্পতির কলহ মেটাতে (১৭ জুলাই) রাতে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা থেকে আসেন কুমিল্লার সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি সেলিনা ইসলাম ও তার ব্যক্তিগত সহকারি (পিএস) হাফেজ আহমেদ সোহেল। কিন্তু আসামীদ্বয় সহ আরো ৩০/৪০ জন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাদের মান-সম্মান খুন্য করার জন্য তাদের উপর আক্রমন করে ও ৫ লক্ষ টাকা দামের গাড়ি ভাংচুর করে এবং তাদের রুমের ভিতরে আটক করে রাখে। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পুলিশ খবর পেয়ে এসে তাদের উদ্ধার করেন।
পরবর্তীতে পিএস হাফেজ আহমেদ সোহেল আসামীদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলার অভিযোগে (১৭ জুলাই) রাতে পুলিশ তাদের আটক করে।
এ বিষয়ে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়দের রিমান্ড না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত এবং আগামীকাল (২২ জুলাই) জামিন শুনানি করবে।