স্বাতীফিল্মফেয়ার ডটকমের অনলাইন সংস্করণে গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, ‘বলিউডের ভাইজান’ সালমান খান নাকি রানু মণ্ডলকে ৫৫ লাখ রুপি দামের একটি বাড়ি উপহার দিয়েছেন।
রানু মণ্ডলের প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে সালমান খান তাঁকে এই উপহার দিয়েছেন। সেই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সালমান খান তাঁর আগামী ছবি ‘দাবাং থ্রি’তে গান গাওয়ার জন্য রানু মণ্ডলকে প্রস্তাব দিয়েছেন।
তবে কিছু কিছু গণমাধ্যম এই তথ্যটিকে একেবারেই ভুয়া খবর বলে জানিয়েছেন ।এছাড়াও সালমান খানের বাবা সেলিম খান নিজে তা নিশ্চিত করেছেনবলে গণমাধ্যমে বিষয়টি উঠে এসেছে।
রানু মণ্ডল একেবারেই পথের মানুষ ছিলেন। পথে পথে ঘুরে বেড়াতেন। সবাই তাঁকে ‘পাগলি’ নামে ডাকত। নিজের খেয়ালে গান করতেন। স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বসে লতা মঙ্গেশকরের ‘এক প্যায়ার কা নাগমা হ্যায়’ গানটি গেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাতারাতি তারকা হয়ে যান রানু মণ্ডল।
‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হির’ ছবিতে হিমেশ রেশমিয়ার সুরে ‘তেরি মেরি’ গান রেকর্ড করেছেন। এরপর ভারতের বিনোদন জগতে গত কয়েক দিনে সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তিত্বে পরিণত হন তিনি।
তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে নানা খবর জানা যাচ্ছে। এখন দেখা যাচ্ছে, এর মধ্যে অনেক খবরই ভুয়া। রানু মণ্ডলের ব্যাপারে সবার আগ্রহ দেখে পাঠককে বিভ্রান্ত করার জন্যই এসব খবর দেওয়া হচ্ছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয় না।
শুক্রবার ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, রানু মণ্ডলকে নিয়ে কলকাতায় চলচ্চিত্র তৈরি হবে। এরই মধ্যে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছবিটি পরিচালনা করবেন হৃষিকেশ মণ্ডল। চলচ্চিত্রে তিনি একেবারেই নতুন। এই ছবি তৈরির পরিকল্পনা করেছেন ক্যাকটাস ব্যান্ডের সদস্য সিদ্ধার্থ রায় সিধু।
স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে বসে রানু মণ্ডলের গাওয়া লতা মঙ্গেশকরের ‘এক প্যায়ার কা নাগমা হ্যায়’ গানটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেন অতীন্দ্র চক্রবর্তী। এর পর থেকে রানু মণ্ডলকে নিজের সঙ্গেই রেখেছেন। মুম্বাইসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাচ্ছেন। রানু মণ্ডলের ভালো-মন্দ আর রোজগার দেখাশোনা করছেন।
এই চলচ্চিত্রের ব্যাপারে সিদ্ধার্থ রায় সিধুর সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি কলকাতার একটি সংবাদমাধ্যমকে ফোনে নিশ্চিত করেছেন অতীন্দ্র চক্রবর্তী। সিধু বলেছেন, ‘আমি তাঁর গান শুনেছি। বেশ ভালো গাইছেন। সবচেয়ে বড় কথা হিমেশ রেশমিয়া তাঁকে একটা সুযোগ দিয়েছেন। ফলে এটা আশা করা যেতেই পারে। আগামী ছয় মাস অন্তত তাঁর এই ক্রেজ থাকবে।’
‘হ্যাপি হার্ডি অ্যান্ড হির’ ছবিতে হিমেশ রেশমিয়ার সুরে ‘তেরি মেরি’ গান রেকর্ড করেছেন। প্রথম গানের জন্য রানুকে ছয় থেকে সাত লাখ রুপি দিয়েছেন হিমেশ রেশমিয়া। আবার আরেকটি সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যাচ্ছে, রানু পেয়েছেন তিন থেকে চার লাখ রুপি। অর্থের পরিমাণ যা-ই হোক, রানু মণ্ডল প্রথমে তা নিতে রাজি হননি। হিমেশ রেশমিয়া প্রায় জোর করেই এই অর্থ রানু মণ্ডলের হাতে ধরিয়ে দেন। এবার অতীন্দ্র চক্রবর্তী বলছেন, যে পরিমাণ অর্থের কথা বলা হচ্ছে, এটা ঠিক না।
অনেক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে কাজের সন্ধানে নাকি মুম্বাই গিয়েছিলেন রানু মণ্ডল। গতকাল বৃহস্পতিবার আরেকটি সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করেছে, ওই সময় রানু মণ্ডল নাকি বলিউডের অভিনেতা ও নির্মাতা ফিরোজ খানের বাসায় রান্না আর ঘর পরিষ্কার রাখার কাজ করেছেন। পাশাপাশি ছোট্ট ফারদিনেরও দেখাশোনা করেছেন। তবে এ খবরের কোনো সত্যতা জানা যায়নি।
এদিকে রানু মণ্ডল রাতারাতি তারকা বনে যাওয়ায় আট বছর পর তাঁকে দেখতে আসেন মেয়ে স্বাতী। মেয়েকে দেখে উচ্ছ্বসিত হন রানু। মেয়েকে জড়িয়ে ধরেন। রানু আর তাঁর মেয়ে স্বাতীর এই ছবি পাওয়া গেছে টুইটারে। (আন্তরজাতিক ডেক্স)