জামালপুরের ইসলামপুর ভয়াবহ বন্যার পানি নেমে গেলেও উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বন্যা কবলিত উপজেলা পশ্চিমাঞ্চলের কাচা ও পাকা সড়ক বন্যার পানিতে ভেঙ্গে গিয়ে অসংখ্য খানা খন্দকের সৃষ্টি হয়েছে। পাঁচশতাধিক বাড়ীঘর নদীর গর্ভে বিলীন ফলে চরম ভোগান্তিতে রয়েছে এসব এলাকার মানুষ।
সরজমিনে দেখা গেছে, চিনাডুলী ইউনিয়নের উলিয়া বাজার সড়কটি বিভিন্ন জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়ে সাধারন মানুষের পায়ে হেটে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। হাট বাজার করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের উলিয়া বাজার হয়ে সোনামুখী,জনতা বাজার পর্যন্ত প্রায় ৪০টি জায়গায় বিশাল গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় পাকা সড়কটি ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়েছে। ফলে এ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
বন্যার পানির তীব্র স্রোতে বন্যা কবলিত প্রত্যেকটি সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে ছোট বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। এছাড়া কাঁচা রাস্তাগুলো মাটি সরে গিয়ে খানাখন্দে সৃষ্টি হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে জন দুর্ভোগে চরম আকার ধারন করেছে।
কৃষক রবিজল মিয়া বলেন,আমতলী থেকে বলিয়াদহ,শিংভাঙ্গা,উলিয়া,জনতা বাজার সড়কটি হেটে যাওয়ার কোন জোঁ নাই। আমাদের বাড়ীঘর শুধু ভাসাইয়া নিয়া যাই নাই,সবপথ বন্ধও করে দিয়ে গেছে সর্বনাশা বন্যায়। অন্যদিকে পাথর্শী ইউনিয়নের মোরাদাবাদ সড়কটি ভেঙ্গে কয়েকটি জায়গায় বিশাল গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষগুলো যাতায়াতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মোরাবাদবাদ ঘাট হতে কুলকান্দি হার্ট পয়েন্ট পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধঁটি ভেঙ্গে গেছে।
এলাকাবাসী জানান, প্রয়োজনের তাগিদে জীবনযুদ্ধে বাশেঁর সাকো তৈরি করে চলাচল করতে হচ্ছে। কাচা,পাকা সড়কগুলো ভেঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় পায়ে হেটে চলাচল করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। চর পুটিমারী ইউনিয়নের বেনুয়ার চর বাজার সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ব্রীজের নিচে মাটি সরে গিয়ে দেবে গেছে। এতে পথচারী ও যান চলাচল বন্ধ হয়েছে।
পাথর্শী ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেখার বাবুল জানান,মোরাদাবাদ বাজার সড়কটি বন্যার পানির স্রোতে বিভিন্ন জায়গায় ভেঙ্গে যাওয়ায় জন সাধারন চলাচলের চরম দূর্ভোগে পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় বাঁশের সাাঁকো দিয়ে ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এ সড়ক দিয়ে পাশ্ববর্তী ইউনিয়ন কুলকান্দি,বেলগাছা যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। সড়কগুলো দ্রুত মেরামত না করতে পারলে দূর্ভোগ আরো বাড়বে বলেও তিনি জানান। জানাগেছে,এবারের বন্যায় উপজেলার কুলকান্দি, সাপধরী, বেলগাছা, চিনাডুলী, নোয়ারপাড়া, পাথর্শী, সদর, গাইবান্ধা,চরগোয়ালীনি ও চর পুটিমারী ইউনিয়নের সড়কগুলো সবচেয়ে বেশী ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা প্রকৌশলী ও কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানাযায়.বন্য কবলিত রাস্তাগুলো ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। প্রতিটি সড়ক ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় চলাচল বন্ধ রয়েছে।ভয়াবহ বন্যায় ১৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,বাজার, ২৩৫কিলোমিটার পাকা সড়ক,১হাজার কিলোমিটার কাঁচা সড়ক এবং ৩হাজার মিটার ব্রীজ,কালভার্ট ও গাছপালা,ফসলি জমি সহ প্রায় ৫শত কোটি টাকার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।