খুলনার জিআরপি (রেলওয়ে) থানা হাজতে এক তরুণীকে রাতভর গণধর্ষণের অভিযোগে ওই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনি পাঠানসহ ৫ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে ভুক্তভোগী ওই তরুণী নিজেই বাদী হয়ে আজ শনিবার জিআরপি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলা নং ০৩।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রেলওয়ে পুলিশের কুষ্টিয়া সার্কেলের এএসপি ফিরোজ আহমেদ জানান, মামলায় ওসি ওসমান গণি ছাড়াও ওই সময়ের ডিউটি অফিসার ও অজ্ঞাত তিন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি ২০১৩ সালের ‘হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু নিবারণ আইনে’ রেকর্ড করা হয়েছে।
এর আগে গত রোববার ওই তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। পরদিন সোমবার সকালে তার পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
প্রসঙ্গত, ভুক্তভোগী ওই তরুণী ট্রেনে করে যশোর থেকে খুলনায় এসে পৌঁছান গত ২ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়। এ সময় তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে ধরে থানায় নিয়ে যায় রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা। থানায় নিয়ে রাতে ওসি ওসমান ছাড়াও আরও ৪ পুলিশ কর্মকর্তা তাকে পর্যায়ক্রমে ধর্ষণ করেন।
পরদিন শনিবার ৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটকের কথা বলে একটি মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করে জিআরপি পুলিশ। আদালতে তোলার পর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে থানায় পালাক্রমে ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরেন ওই নারী।