জাতিসংঘের ‘ফিউচার লিডার কংগ্রেস ২০১৯’ এর কনফারেন্সে সফলভাবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে দেশে ফিরেছেন ইব্রাহিম আদহাম খান জুম্মা।
গত ৪ আগষ্ট থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থিত জাতিসংঘ’র ‘ইউ এন এস্কেপ’ সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী কনফারেন্সে বিশ্বের ৫২টি দেশ থেকে নির্বাচিত সম্ভাবনাময় ১৯৬ জন যুব নেতাদের সাথে তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে কংগ্রেসে জাতিসংঘের এ্যাকশন ক্যাম্পেইন “মাই ওয়ার্ল্ড ২০৩০ এশিয়া প্যাসিফিক এডভোকেসি” এর উপর বক্তব্য প্রদান ও যুক্তিতর্ক স্থাপন শেষে দেশে ফেরেন তিনি।
৩ দিনের কনফারেন্সের ১ম দিন অনুষ্ঠিত হয় (Diplomatic Training) কুটনৈতিক ট্রেনিং, প্রশ্নোত্তর এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমস্যা ও সমাধান বিষয়ক ধারনা এবং কর্মশালা।
২য় দিন, নিজের দেশের হয়ে যে কোন একটি বড় সমস্যা এবং তা ২০৩০ সালের মধ্যে চুড়ান্ত সমাধানের ক্ষেত্রে পদক্ষেপগুলির প্রস্তাবনা, যা লিখিত বক্তব্য হিসেবে দেয়া হয়। ইব্রাহিম আদহাম খান বাংলাদেশের সমস্যা হিসাবে রোহিঙ্গা ইস্যুকে নির্বাচন করেন এবং সে বিষয়ে লিখিত বক্তব্য প্রদান করেন।
বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সারা পৃথিবীর অনেকেই হয়ত ভেবেছেন আমরা রোহিঙ্গাদের এদেশে জায়গা দিয়েছি আবেগে, ধর্মীয় কারনে অথবা আন্তর্জাতিক চাপে, কিন্তু সত্যি বলতে আমরা বাংলাদেশের নাগরিক, আমাদের সরকার এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমরা এই ইস্যুতে কে মুসলিম, কে হিন্দু, কে খীষ্টান, কে বৌদ্ধ, দেখিনি, আমরা একটি দিকেই সবাই এক ছিলাম, আর তা হল “মানবতা”।
৩য় দিন ছিল আন্তর্জাতিক সেতুবন্ধন ও সম্মিলিত প্রজেক্ট সেখানে লটারির মাধ্যমে ৬টি দেশের ৬টি প্রতিনিধিকে একটি দলে ফেলা হয় এবং তাদের মতে যে কোন একটি শহরের মূল সমস্যা ও সমাধান এর প্রজেক্ট করতে দেওয়া হয়। ইব্রাহিম আদহাম খান এর গ্রুপ সদস্যরা হলো ইন্দোনেশিয়া, ভুটান, ভিয়েতনাম, মালয়শিয়া, ফিলিপাইন।
এর আগে যুব উন্নয়ন বিষয়ক বিভিন্ন গবেষনাপত্র এবং “জাতিসংঘ উন্নয়ন লক্ষ্য ২০৩০” এর জন্য জমা দেওয়া বিবেচ্য বিষয়গুলো গৃহিত হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে ডেলিগেট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেন ইব্রাহিম।
এ বিষয়ে ইব্রাহিম আদহাম খান জুম্মা জানান, যেহেতু আমি জাতিসংঘের এতবড় একটি প্লাটফর্মে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছি সেহেতু আমি কেংগ্রেসে চেষ্টা করেছি আমার কাজ ও বক্তব্য দিয়ে দেশের সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে এবং আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় দিকগুলো তুলে ধরতে।
তিনি আরো বলেন- প্রত্যেক দেশের ভবিষ্যত তার তরুন প্রজন্মের উপর নির্ভর করে, আর অগ্রজদের দায়িত্ব থাকে তারা দেশটার আগামীর দায়িত্ব কাদের হাতে তুলে দিবেন, যদি অযোগ্য মাদকসেবী, চাদাবাজ এদের হাতে তুলে দেন, তাইলে কি হবে সহজেই বুঝা যায় আর যদি শিক্ষিত মেধাবীদের হাতে যায় তাহলে ফল আর এক রকম হয় তাই যে যেদল ই করুক না কেন তারা যেন এই মন্দদের বয়কট করেন, সামাজিক সম্মান না দেন, তা না হলে অযোগ্যদের দ্বারা শাসিত হবে সবাই আর তার পরিনাম ভয়াবহ।
প্রসঙ্গত, ইব্রাহিম আদহাম খান জুম্মা নারায়ণগঞ্জের সাবেক এম. এল. এ আব্দুল সামাদ খান এর কনিষ্ঠ নাতি, নারায়নগঞ্জ এর সাবেক বিশিষ্ট ব্যাংকার ফজলে রাব্বি খান বাবর এর পুত্র এবং নারায়নগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল এর ছোট ভাই। ইব্রাহিম আদহাম খান একজন ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা ও অরাজনৈতিক সেবামূলক সংগঠন নারায়ণগঞ্জ ইয়থ ক্লাব এর প্রতিষ্ঠাতা।