সাধ নাগ মহাশয় একজন অসাম্প্রদায়িক ব্যাক্তি ছিলেন-স্বামী পূর্ণাত্মানন্দজী মহারাজ সাধু নাগ মহাশয় একজন অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
এই দেশে তিনি জন্মেছেন, এই দেশেই তিনি দেহত্যাগ করেছেন, এই ভূমিতেই তিনি তার কর্মসাধনা সম্পন্ন করেছেন। কিন্তু এই মানুষটি ছিলেন সার্বিক দিক দিয়ে একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ। কোনো সম্প্রদায়গত এই তুচ্ছতা, এই নিচুতা, এই সংকীর্ণতা তাকে কখনো স্পর্শ করতো না।
সেজন্য আমরা বলবো আজকের বাংলাদেশ যে সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বহুবছর আগে এই পূর্ববঙ্গের মাটিতে দাড়িয়ে সাধু নাগ মহাশয় অনুশীলন করেছিলেন এবং তা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
রবিবার (২৫ আগস্ট) সাধু নাগ মহাশয়ের ১৭৩ তম শুভ জন্মোৎসব উপলক্ষে নগরীর দেওভোগ নাগবাড়ী এলাকার সাধু নাগ মহাশয় আশ্রমে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ পূজ্যপাদ শ্রীমৎ স্বামী পূর্ণাত্মানন্দজী মহারাজ একথা বলেন।
তিনি বলেন, যতবার এইখানে আসার সুযোগ পাবো এইখানে আমি আসবো। কারণ এটিতো আমার জন্য নয় বা আমার কোনো কীর্তিস্থাপনের জন্য নয়। আমি ধন্য হবো বলে এই তীর্থ ভূমিতে আমি বারবার আসবো এবং আসার চেষ্টা করবো। আপনারা যারা এখানে থাকেন তারা এই তীর্থকে চিনুন। কতবড় মহাতীর্থের সাথে আপনাদের সম্পর্ক হচ্ছে তা অনুধাবন করুন।
তিনি কোনো সাধারণ মানুষ ছিলেন না কিংবা তিনি কোনো সাধারণ সাধুও ছিলেন না কিংবা তিনি সন্ন্যাসীও ছিলেন না, তিনি সন্ন্যাসীদের বাবা ছিলেন। তার জীবনে তিনি এমন আদর্শ দেখিয়েছেন যে শ্রীরামকৃষ্ণ ছাড়া এই আদর্শ আর কেউ দেখাতে পারেননি। তিনি আরো বলেন,যদিও আমি অফিসিয়ালভাবে না হলেও এই আশ্রমের একজন পৃষ্ঠপোষক আমি। কিন্তু কিছুখন আগে একটা কথাশুনে দুঃখে মন ভারাক্রান্ত হয়েছিলো।
ছোট একটা কমিটি, ছোট্ট একটা জায়াগা, মহাপুরুষের জন্মস্থান, এর পরিচালক সমিতির সদস্য হিসেবে এর সাথে যুক্ত হওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। তার মধ্যে এইখানে রাজনীতি আসবে কেনো? আমি এইখানাকার পরিচালক কমিটিকে আশ্বস্ত করে বলতে চাই এই কমিটির সাথে আমি আছি।
আপনারা যারা ২/১ জন আছেন আপনাদেরকে জানিয়ে রাখি আপনারা এই ২/১ জন মিলে এই আশ্রমের কোনো ক্ষতি করতে পারবেন না। তাই বলছি সর্বাত্ম দিয়ে এই তীর্থস্থানের সেবা করার চেষ্টা করুন। এই আশ্রমের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিভয় দিয়ে আমি বলতে চাই আপনারা আপনাদের কাজ করে যান।
আমি আপনাদের সাথে আছি। আমি এখানকার এসপির সাথে কথা বলেছি এবং তিনি আমাকে আশ্বস্ত করে বলেছেন আপনি যা চান তাই হবে। সুতরাং সাবধান নিজের ক্ষতি নিজে ডেকে আনবেন না।
উক্ত অনুষ্ঠানে সাধু নাগ মহাশয় আশ্রমের সভাপতি সরোজ কুমার সাহার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক তারাপদ আর্চায্যর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, রামকৃষ্ণ মিশন নারায়ণগঞ্জ’র অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী একনাথনন্দজী মহারাজ, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্ট’র ট্রাষ্টি পরিতোষ কান্তি সাহা, এফবিসিসিআই’র পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখন সরকার প্রমুখ।