ফতুল্লার বাবুরাইলের তাতীপাড়া এলাকায় ছুরিকাঘাতে সোলেমান হোসেন অপু (৩৫) নামে এক যুবক খুনের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
(২৪ আগস্ট) শনিবার দুপুরে নিহতের পিতা রমজান মিয়া ফতুল্লা মডেল থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন ।
আসামীরা হলো দেওভোগ তাতীপাড়া এলাকার মৃত বিল্লাল হোসেনের চার ছেলে রায়হান, রানা, ফয়সাল ও ফরহাদ, একই এলাকার নাছির উদ্দিন আহমেদের ছেলে রাহাত, নাগবাড়ী এলাকার মৃত আঃ হাকিম এর ছেলে প্রসুন এবং আলী আকবরের ছেলে পারভেজ।নিহত অপু দেওভোগ তাঁতীপাড়া এলাকার আজিজ মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া রমজান মিয়ার ছেলে। তিনি মন্ডলপাড়ায় কাশেম ডেকোরেটরে বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করত।
নিহত অপুর বাবা রমজান ও মা শাহানার দাবি পাওনা টাকা নিয়েই অপুকে হত্যা করা হয়। পুলিশ হত্যাকান্ডের পরপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পারভেজ নামে এক যুবককে আটক করেছে।এদিকে বাবার মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে নিহতের একমাত্র কন্যা লামহা (৯)।
নিহত অপুর বাবা রমজান এবং মা শাহানা আক্তার জানান, শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে অপুর সাথে অভিযুক্ত আসামী রায়হানের পাওনা টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় রায়হান অপুকে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
সন্ধ্যার দিকে রায়হানের সহযোগি প্রসুন অপুকে ফোন করে দেওভোগ নাগবাড়ী শেষ মাথা পূর্বের গলি এলাকার নূর মোহাম্মদ এর বাসার সামনে ডেকে নেয়।
তারা অপুকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারী মারধর করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন অপুকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসলাম হোসেন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পারভেজ নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।