শেরপুরের শ্রীবরদী এম.এন.বি.পি সরকারি বালিকা উচচ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নূর ইসলাম ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বেত্রাঘাত করেছে। এ ঘটনায় ২ শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে ৭ম শ্রেণির গণিত ক্লাস চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষক নূর ইসলাম বিভিন্ন সময়ে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের সাথে অশালীন কথা বলতেন। গত সোমবার শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলামের নিকট ওই বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ করে। এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার বিকালে সহকারি শিক্ষক নূর ইসলাম গণিত বিষয়ে ৭ম শ্রেণির ক্লাস চলাকালীন সময়ে প্রায় সকল শিক্ষাথীদের বেত্রাঘাত করে। এঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।
এদের মধ্যে বুশরা (১৩) ও স্মৃতি (১৩) কে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে আসলে ওই শিক্ষক কৌশলে পালিয়ে যায়। ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাওলিয়া জাহান শর্মি জানায়, নূর ইসলাম স্যার প্রায় প্রতিদিনই ক্লাসে ছাত্রীদের সাথে অশালীন ভাষায় কথা বলতেন। এব্যাপারে আমরা সোমবার প্রধান শিক্ষকের নিকট মৌখিক ভাবে অভিযোগ দিয়েছি। এরই জের ধরে স্যার ক্ষিপ্ত হয়ে প্রায় সকল শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করেছে।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নূর ইসলাম বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করেছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার ও ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোশারফ হোসেন বলেন, শিক্ষকদের ক্লাসে বেত্রাঘাততো দূরের কথা, বেত নিয়ে ক্লাসে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। বিধি অনুযায়ী অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ওসি (তদন্ত) বন্দে আলী বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মঞ্জুর আহসান জানান, বিষয়টি অবগত হয়েছি। এব্যাপারে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।