বেশ কয়েক বছর ক্ষমতার বাহিরে থাকা বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে ব্যর্থতার কারন খোজতে এবার নড়ে চড়ে বসেছেন দলের হাই-কমান্ড। সেই ব্যর্থতার কারন খোজতে গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবন্দদের তালিকায় উঠেছে দলের নানা সমস্যা। এই সকল সমস্যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দলের মধ্যে বিভক্তি ও বিতর্কিত নেতারা।
আর তারই সমাধানে এবার মাঠে নেমেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের প্রতিনিধিরা বলে জানান দলটির বিশ্বস্ত সূত্র। এই প্রতিনিধিদের তালিকায় উঠে আসছে দলের মধ্যে থাকা বিতর্কিত নেতাদের নাম।
আর এই তালিকা তৈরি হচ্ছে, যারা দলের মধ্যে থেকে সাংগঠনিক ভাবে বিভক্তি সৃষ্টি করা, গুরুত্বপুর্ন পদে থেকে সাংগঠনিক বা কর্মসূচিতে উপস্থিত না থাকা, ক্ষমতাসীনদের সাথে আতাঁত, সাংগঠনিক সহযোগীতা না করা, নিধারিত সময়ের মধ্যে কমিটি গোছাতে ব্যর্থতা, সহযোগী সংগঠনে থেকে মূল দলের বাহিরে বিভক্তির রাজনীতি করা সহ নানা কারনে দলের হাইকমান্ড তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তবে এই সিদ্ধান্ত আরও আগে নেয়ার কথা থাকলেও দলের দুঃসময়ের কারনে এটা থেকে বিরত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। তাদের এই বিরত থাকার ফলে সারা দেশে দলের সাংগঠনিক কর্মকান্ড আরও দুর্বল হওয়ার কারনেই এবার হার্ডলাইনে যাওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
এরই ধারাবাহিকতায় এই সকল বিতর্কিত নেতাদের বিষয় সত্যতা যাচাই শেষে ব্যবস্থা নেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
এদিকে, নারায়ণগঞ্জ বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের রাজনীতিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে অধিকাংশ কমিটি হয়েছে বিশদ আকারের। তবে লক্ষ্য করলে দেখা যায় সেই বিশদ আকারের কমিটি হওয়ার পরও দলীয় কর্মসূচিতে তাদের বিচরন একেবারেই সীমিত।
দলটির বিশ্বস্ত সূত্র আরও জানায়, যারা গুরুত্বপুর্ন পদে আশিন হওয়ার পরও সাংগঠনিক কর্মকান্ডে এখনও পর্যন্ত ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসছেন। তাদের বিষয়ে খোজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
ধারনা করা হচ্ছে, এই তালিকায় থাকতে পারে জেলা বিএনপির সভাপতি কাজী মনির, সহ-সভাপতি এ্যাড. আবুল কালাম আজাদ বিশ্বাস, শাহ-আলম, খন্দকার আবু জাফর, যুগ্ম-সম্পাদক মোশারফ।
আর মহানগর বিএনপির নেতাদের তালিকায়, সহ-সভাপতি এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান,আতাউর রহমান মুকুল, নুরুল ইসলাম সরদার, এ্যাড. সরকার হুমায়ুন কবির, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত হাসেম শকু, দপ্তর সম্পাদক হান্নান সরকার, সুলতান আহম্মেদ।
এছাড়াও সহযোগী সংগঠনের মধ্যে, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক খোকন, মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, জেলা ছাত্র দলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি, সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সজিব, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত রানা সহ আরও অনেকেই।
তবে দলের মধ্যে থাকা এই সকল সুবিধাবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে যাচাই বাচাই শেষে কবে নাগাদ চুড়ান্ত সিধান্ত নিবে তা এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।