দেওভোগ হাসেমবাগ এলাকার কিশোর গ্যাং এর গডফাদার তুহিন বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ার ঘটনায় মিষ্টি বিতরণ করেছে এলাকাবাসী। একই সাথে এ ঘটনায় সন্তোষ প্রকাশ করে র্যাব-১১ এর অফিসারদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলো এলাকার মানুষ। তবে, র্যাবের কর্মকর্তা উপস্থিত না থাকায় সে ফুলেল শুভেচ্ছা আর দেওয়া হয়নি।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে দেওভোগ এলাকার ইকবালের নেতৃত্বে পুরাতন কোর্টস্থ র্যাব-১১ এর ক্যাম্পে ফুল নিয়ে ছুটে আসেন একদল এলাকাবাসী। তবে, সে সময় ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা কার্যালয়ে না থাকাতে সে ফুল আর দেওয়া হয়নি।
সূত্র জানায়, শাকিল হত্যার প্রধান আসামী একাধিক মামলা ও শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী তুহিন বাহিনীর প্রধান চাপাতি তুহিন বুধবার ভোরের দিকে র্যাব-১১ এর সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়। এ ঘটনার খবর দেওভোগ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তির
নিঃশ্বাস নেমে আসে এবং উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে স্থানীয়রা। পরে এ ঘটনায় র্যাবকে ধন্যবাদ জানিয়ে এলাকাবাসী নিজেদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেন।
অপরদিকে র্যাব কার্যালয়ে ফুল দিতে আসা আদর্শ ফাউন্ডেশনের নেতা ইকবাল বলেন, তুহিন ছিলো ক্রসফায়ারে নিহত হাসানের লোক। পরে সে নিজেই একটা বাহিনী তৈরি করে।
তাদের অত্যাচারে অতিষ্ট ছিলো মানুষ। মাদক ব্যবসা, খুন খারাবি সবই হতো এদের নেতৃত্বে। র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে তার মতো কুখ্যাত সন্ত্রাসী মারা গেছে এতে আমরা খুশি।
প্রসঙ্গত, দেওভোগের হাসেমবাগে শাকিল হত্যার মামলার প্রধান আসামী তুহিন। গত ২৭ জুলাই শনিবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাকিল নামে নিরিহ ওই যুবককে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী তুহিন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। ওই ঘটনায় আরও ছয়জনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। ওই ঘটনায় তুহিনকে প্রধান আসামী করে ফতুল্লা থানায় একটি মামলা করে নিহত শাকিলের বড় ভাই সাঈদ হোসেন।