নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলার আলীরটেক ইউনিয়নের কুড়েঁরপাড় আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় হতে ছাত্রী অপহরন চেষ্টার ঘটনায় জরুরি সভা করেছে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় টির্চাস রুমে ম্যানেজিং কমিটির কো-অপ্ট সদস্য মোঃ তোফাজ্জল হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় স্কুল চলাকালীন সময়ে দোতলায় প্রবেশ করে প্রকাশ্য দিবালোকে ছাত্রী অপহরনের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন সভায় জানান, আমাদের কে বিকাল ৪ টায় ঘটনাটি জানানো হয়। আমি ভিকটিমের কাছে সব জেনে বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় কে জানানোর জন্য উপজেলায় গিয়ে তাকে না পেয়ে ফিরে আসি।
অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা লিখিত অভিযোগ নিজে রেখে দিয়েছেন।
সভায় বক্তারা বলেন, এ রকম ঘটনা যেন আগামীতে না ঘটে সেই জন্য স্কুল কমিটিকে বাদী হয়ে মামলা করতে হবে যেন এ রকম ঘটনা ঘটাতে সাহস কেউ না পায়।
কমিটির সদস্য আলী আকবর মাষ্টার বলেন,মেয়ে পক্ষ মামলা করতে রাজি নয়।ছাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে স্কুলের প্রবেশ মুখে গেইট নির্মাণ করতে হবে।গেউট না থাকায় বখাটেরা যখন তখন স্কুলে ডুকে পড়ে।
সভাপতির বক্তব্যে তোফাজ্জল হোসেন বলেন, স্কুলের ইতিহাসে এ ঘটনা কলংকিত হয়ে থাকবে।যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের কে কোনমতে ছাড় দেয়া যাবেনা।নইলে ভবিষ্যতে এ ঘটনা ঘটতে থাকবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ কে বাদী হয়ে মামলা করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তোফাজ্জল হোসেন, মোঃ মাসুদ রানা,এবিএম আলমাস,আলী আকবর,আতাউর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বুধবার (৫ সেপ্টম্বর) স্কুল চলাকালীন সময়ে ভবনের দোতলায় ঢুকে বখাটে মোঃ সালাউদ্দিনের পুত্র আল হাসান,আনোয়ার আলীর পুত্র জুয়েল,অলিউল্লাহর পুত্র মেহেদী সহ অজ্ঞাত নামা ৫/৬ জন ৯ম শ্রেনীর মানবিক শাখার ছাত্রী সানজিদাকে অপহরনের জন্য দোতলা হতে অপহরণের চেষ্টা চালায়। ছাত্রছাত্রীদের চিৎকারে অন্যরা এগিয়ে আসলে অপহরণ কারী ও বখাটে আল হাসান,জুয়েল,মেহেদী পালিয়ে যায়।
বখাটে আল হাসান ও তার সহযোগীরা ১ বছর যাবত সানজিদাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। স্কুলে আসা যাওয়ার পথে ডির্স্টাব করতো। বুধবার অপহরনের চেষ্টার ঘটনায় অভিবাবক মহলে আতংক সৃষ্টি হয়েছে।
দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদা বারিকের নির্দেশে সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল গনি কুড়েঁরপাড় আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ে তদন্ত করতে যান। এ সময় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ মতিউর রহমান মতি উপস্থিত ছিলেন ।
এসয় আব্দুল গনি বলেন,মেয়ের অভিবাবকগন আইনী ব্যবস্থা গ্রহনে রাজি হননি। পরে ভিকটিম সানজিদা জিডি করতে রাজি হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও আইনী ব্যবস্থা নিবে।