জঙ্গি ইস্যুতে নারায়ণগঞ্জবাসীর মধ্যে আবারো আতংক সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে জঙ্গি সদস্যরা গ্রেফতার হলেও তাদের অনুসারিরা ঘাপটি মেরে থাকায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। ফতুল্লার তক্কার মাঠ এলাকায় দুইজন আটকের পর কাশীপুরবাসীর মধ্যে আতংক দেখা দিয়েছে।
কেননা গত বছরের নভেম্বর মাসে র্যাব-৩ অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য আবু বক্কর সাজনকে গ্রেফতার করেছিল। সাজন গ্রেফতার হলেও তার অনেক অনুসারি কাশীপুরে অবস্থান করতে পারে বলে ধারণা এরাকাবাসীর। কেননা সাজনকে গ্রেফতারের আগে তার সাথে বহিরাগতসহ স্থানীয় অনেক কিশোরের সাথে সাজন তার বাড়ির ছাদে আড্ডা দিতে দেখা যেত।
সাজনের ভাই সনমও ঐ আড্ডাতে অংশ নিত। তাই সাজন গ্রেফতার হলেও তার অনুসারিদের নিয়ে এলাকাবাসরি মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। বিভিন্ন সূত্র বলছে, কাশীপুরে আনসার আল ইসলামের একটি শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। গত বছবের নভেম্বর মাসে র্যাব-৩ এর অভিযানে গ্রেফতার হওয়া আবু বক্কর সাজনের একাধিক অনুসারি
কাশীপুরে অবস্থান করার সম্ভাবনা রয়েছে। আবু বক্কর সাজন ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শফিউল্লাহ শফির পুত্র। সাজনকে গ্রেফতারের পর র্যাব-৩ জানিয়েছিল, সাজন ঢাকার যাত্রাবাড়িতে তার কার্যক্রম পরিচালনা করতো। সংগঠনের সদস্যরা কেউ গ্রেফতার হলে নারায়ণগঞ্জের কাশীপুরে অবস্থান নিতো। এবং সেখানে থেকেই কার্যক্রম পরিচালন করতো।