নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে দিধাদন্ডের কিছুটা অবসান হওয়ার পথে থাকলেও সেটাকে পুণরায় জাগ্রত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন এ্যাড. শাখাওয়াত হোসেন খাঁন।
শুরু থেকে মহানগর বিএনপির মধ্যে এই বিভক্তির সীমানা রাখলেও, এখন তার চোখ পড়েছে জেলা বিএনপির দিকে। নিজের ব্যক্তি স্বার্থ হাসিল করতে দলের এই দুঃসময়ে এই কৌশলতাকে মানতে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতাকর্মীরা।
জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা দাবি করে বলেন, এতো দিন এ্যাড. সাখাওয়াত মহানগর বিএনপিকে দিখন্ডিত করার পায়তারা করে ব্যর্থ হয়েছেন। এখন তার সেই কর্মকান্ড জেলার উপরও প্রয়োগ করতে শুরু করেছেন যা দলের জন্য কখনই মঙ্গল জনক হবে না। বিগত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলের সমর্থন পেয়ে ক্ষতমাশীনদের কাছ থেকে ফায়দা লুটেছেন বলে আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি।
এখন আবার নতুন করে লাভবান হওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জ ৫ আসনের সাংসদ নির্বাচন করতে চাইছে।
সেই কারনে তার সাথে জেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের গুটি কয়েক জন নেতাদেরকে নিয়ে মুল সংগঠনের বাহিরে আলাদা ব্যানারে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন।
এবিষয় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, আসলে কর্মীরা দল পাগল মানুষ তারা কর্মসূচির ডাক পেলে যেখানে সুযোগ পায় সেখানেই উপস্থিত হয়। তাদের কোন দোষ আমি দিব না। এটা মহানগর বিএনপির নেতৃত্বের কারনে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হোসেন রোজেল বলেন, আসলে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্র থেকে ঢাকারা পাশ্বর্তী জেলা ও মহানগরের প্রতি নির্দেশনা ছিলো প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে কর্মসূচি পালন করার জন্য। যদি অনুমতি না দেয় তাহলে সেটা না করতে কারন পরের দিন ঢাকার র্যালীতে অংশগ্রহন করতে যেন কোন সমস্যা না হয়। আমরা জেলা ও মহানগরের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়ে ছিলাম তারা সেটা দেয় নাই।
কিন্তু এর মধ্যে মহানগরের এক নেতা কর্মসূচি পালন করেছেন আর সেখানে আমাদের জেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলো। হয়তোবা তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত সর্ম্পকের কারনেই সেখানে গিয়ে ছিলো।
মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু বলেন, আমাদের যতগুলো কর্মসূচি হয় সাংগঠনিক নিয়ম মেনেই হয়। আমরা কর্মসূচি গুলো করার আগে কমিটির নেতৃবৃন্দদের সাথে আলাপ আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেই।
প্রতিটি কর্মসূচিতেই এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেনকে আসার জন্য আমি নিজে বলি। অথচ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের কাছে তিনি বলেন কর্মসূচির বিষয় আমাকে জানানো হয় না। গত বৃহস্পতিবার আমি তাকে ফোণ করে আমন্ত্রন করেছিলাম্ সে আমাকে স্পষ্ট বলে দিয়েছে আপনাদের কোন কর্মসূচিতে আমি থাকবো না।
এ্যাড. সাখাওয়াত দলকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে সে বিএনপি করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য। এটা নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বুঝে তাই তার সাথে কেউ থাকে না। তাই জেলার কিছু নেতাদের নিয়ে নিজের অবস্থান জাহির করতে চাইছে।
মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন বিএনপির নাম ব্যবহার করে কোর্ট প্রাঙ্গণে ফায়দা লুটেছে। বিগত সিটি নির্বাচনের আগে দলেরে মধ্যে তার কোন পদ ছিলো না। আমরা তাকে দলের সমর্থন এনে দেয়ার পর নির্বাচনের নাম করে বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকে চাঁদা বাজী করে নিজের পকেট ভারি করেছে। এবারও সে আগামী সিটি কর্পোরেশন বা জাতীয় নির্বাচনে দলের সমর্থন নিয়ে লাভবান হতে চাইছে।
এছাড়াও সে জেলার নেতাদের বুঝাতে চাইছে সে জেলার রাজনীতি নিয়ন্ত্রন করে। যার কারনে সে জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাদক ব্যবসায়ী রুহুল আমিনকে সাথে নিয়েছে।
এছাড়াও তার সাথে যারা থাকে তাদের অধিকাংশ লোকই মাদক ব্যবসায়ী। তার ব্যক্তিগত কোন কর্মী নাই অণ্যের উপর ভর করে গুটি কয়েক নেতাকে নিয়ে সে মুল দলের বাহিরে আলাদা ভাবে কর্মসূচির নামে বিভেদ সৃষ্টি করে বেড়াচ্ছে।