ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ১৩ দিনেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি কিশোরী গনধর্ষন মামলার এজাহারভুক্ত রাজনকে । গত ৪ সেপ্টেম্বর র্যাব-১১’র একটি অভিযানিক দল টাঙ্গাইল এলেঙ্গা থেকে এজাহার ভুক্ত ২ আসামী শান্ত ও শুভকে গ্রেপ্তার করে।
সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগরে অবস্থিত র্যাব-১১’র সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক লে: কর্ণেল কাজী শমসের উদ্দিন উপস্থিত গনমাধ্যমকর্মীদেরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।। পরে র্যাব ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
গ্রেপ্তারকৃত শান্ত ও শুভকে পুলিশ আদালতে হাজির করলে তারা উভয়েই ধর্ষন করার কথা স্কীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন কোর্ট পুলিশ পরিদশর্ক ।
কিন্তু এজাহারভুক্ত আসামী শান্ত ও শুভ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হলেও অপর আসামী রাজনকে ১৩ দিনেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
উল্লেখ্য যে, বুধবার ২৮ আগষ্ট রাতে দাপা ইদ্রাকপুর জোড়াপুল এলাকায় (১৩) বছরের এক কিশোরী দোকানে তেল আনতে গেলে একই এলাকার মৃত আঃ সামাদ মিয়ার ছেলে শান্ত (২৫) মৃত নিজাম মিয়ার ছেলে শুভ (২৫) ও শাহিন মিয়ার ছেলে রাজন (২৬) কিশোরীকে গামছা দিয়ে মুখ বেধে জোর পূর্বক নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষন করে।
এসময় কিশোরী ডাক চিৎকার দিলে আশে পাশের লোকজন ছুটে এসে উদ্ধার করে । খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে স্বজনরা মেয়িটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এব্যাপারে কিশোরীর মা সাহীনা বেগম বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত একজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার ইন্সপেক্টর ( অপারেশন ) সাখাওয়াত হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রিসিভ না করে কেটে দেন।