নারায়ণগঞ্জ বন্দরে পারিবারিক বিরোধের জের ধরে গৃহবধু শাহানাজ(৩০)কে অমানবিকভাবে নির্যাতন করে পিটিয়ে মারাতœক জখম করেছে পাষন্ড স্বামী ও তার শ্বশুরবাড়ীর লোকজনেরা। পাষন্ড স্বামী জামান ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ভয়ে সে ৩টি কন্যা সন্তান নিয়ে শংকায় দিন যাপন করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনাটি ঘটেছে বন্দর উপজেলার পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ি এলাকায়। আহত গৃহবধু শাহানাজ পুরান বন্দর চৌধুরী বাড়ি এলাকার জামান মিয়ার স্ত্রী।
এ ব্যাপারে আহত গৃহবধু শাহানাজ বেগম মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে পাষন্ড স্বামী জামানকে আসামী করে বন্দর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
জানা গেছে,বিগত ১৬বছর পূর্বে বরিশাল জেলার ঝালকাঠি থানার বাহিদ্দা গ্রামের শাহজাহান মিয়ার মেয়ে শাহনাজ বেগমের সাথে নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীণ পুরান চৌধুরীবাড়ী এলাকার আলমচান মিয়ার ছেলে জামানের সাথে পারিবারিকভাবে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিবাহ হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই স্ত্রীর সাথে প্রায় সময়ই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডা ঘটত। গৃহবধু শাহানাজ দরিদ্র ঘরের মেয়ে বলে স্বামীর সব কিছুই নিরবে মানিয়ে নিত। এর মধ্যে তাদের সংসারে পর পর ৩টি কন্যা রয়েছে।
যথাক্রমে বড় মেয়ে সুমাইয়া(১৪) নাসিম ওসমান মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী,ছোট ২ মেয়ে অজান্তা(৮) ও অরুনা(৫)। কয়েক মাস ধরে জামান তার হোসীয়ারী ব্যবসার নাম করে বাড়িতে প্রতি সপ্তাহে ২দিন আসত আর বাকি ৫দিন নারায়ণগঞ্জ জালকুড়িতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে থাকত। তার স্ত্রী শাহানাজ জামানকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তাকে মারধর করত। এমনকি ওখানে আরেকটি বিয়ে করেছে ও তাকে ছেড়ে দিবে এবং বাড়াবাড়ি করলে প্রানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করত।
এর ধারাবাহিকতায়,গত রবিবার ৮ সেপ্টেম্বর গৃহবধু শাহানাজ ফের তার স্বামী জামানকে পূণরায় বিবাহ কোথায় করেছে ও বাড়িতে কেন আসেনা প্রশ্ন করলে শাহানাজকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে ঘরের বিছানায় ফেলে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।
একপর্যায়ে শাহনাজ চিৎকার করলে তার শ্বাশুরীসহ তাকে রান্না ঘরে থাকা খুন্তি দিয়ে মূখমন্ডল চেপে ধরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাতœক আঘাত করে আহত করে। আহত গৃহবধুর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করে।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার এসআই হামিদুল ইসলাম তদন্ত শেষে যথযথ নিয়মে ব্যবস্থা নিবে বলে জানিয়েছেন।