নারায়ণঞ্জে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে করেছে জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (৯ সেপ্টম্বর) বিকেলে এক বিবৃতিত্বে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।
মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দরা জানান, এটা সরকারের প্রতি হিংসার প্রকাশ কারন তারা দেখছে বিএনপির উপর যতই নির্যাতন করা হচ্ছেতারা ততই শক্তিশালী হচ্ছে।
অথচ এই বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সরকারের সাজানো মামলায় কারাগারে। আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশের বাইরে। তবুও দলটির প্রতি নেতা ও কর্মী সহ সাধারণ মানুষের ভালবাসা বেড়েই চলেছে। তাই আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক ভাবে দলটিকে দুর্বল করার জন্যই বৃর্থা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আমরা আহবান করবো, অচিরেই এই প্রতিহিংসা মূলক মামলা প্রতাহার করুন। নতুবা জনগণের কাঠগড়ায় আপনাদের এর জবাব দিতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার বলেন, সরকার তারেক রহমানকে ভয় পায়। তাদের মন্ত্রী-এমপিরা দিনে-রাতে, স্বপ্নে দেখে তারেক রহমান বীরের বেশে বাংলাদেশে আসছেন। তাই সুদূর লন্ডনে বসে সত্য ও যুক্তি দিয়ে বক্তব্য রাখলেও সেখানে তারা মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহিতা খোঁজেন। এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়।
আমি সরকারকে স্পষ্ট ভাবে বলে দিতে চাই, তারেক রহমান এই সব মিথ্যা মামলাকে ভয় পান না।
অচিরেই তার চিকিৎসা শেষ করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে অংশ নেয়ার জন্য দেশে ফিরে আসবেন এবং তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা আইনের মাধ্যমে মোকাবেলা করবেন।
আমি মনে করি, তারেক রহমানের দেশে আসায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার জন্য সরকার একের পর এক মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করছে।
উল্লেখ্য, সোমবার (৯ সেপ্টম্বর) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (ক) অঞ্চল আমলী আদালতে তারেক রহমান সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসেন তাদের গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বিবরনে জানাযায়, তারেক রহমান চলতি বছরের ১৯ আগস্ট লন্ডনের একটি অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণা না মানা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটাক্ষ এবং স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করে মানহানিকর কথাবার্তা বলেন।
যা এনটিভিতে শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস ও কওছর এম আহমেদ এর সহযোগীতায় প্রচার করা হয়।
আদালত এই অভিযোগ আমলে নিয়ে তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ মামলার বাকি আসামিরা হলো, যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুস ও সাধারণ সম্পাদক কওছর এম আহমেদ। আর মামলার বাদী আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আকরাম হোসেন বাদল।