নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার পরিদর্শক করেছেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম মোস্তফা কামাল পাশা।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি জেলা কারাগার পরিদর্শনে আসেন। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। তিনি কারা গার্মেন্টস, জামদানি তৈরির কারখানা, লেডিস পার্লারসহ বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন এবং সেখানে কর্মরত বন্দীদের সাথে কথা বলেন।
পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, বন্দীদের কারাগারে থাকছে এমনটা যেন মনে না হয় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। এজন্য কারা অভ্যন্তরে উৎপাদিত পণ্যের লভ্যাংশের ৫০ ভাগ বন্দীদের দেয়া হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও সেটা চান। বন্দীরা যাতে কাজ শিখে মুক্ত হয়ে বাইরে গিয়ে স্বাবলম্বী হতে পারে সেটাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য।
পরে তিনি জেলা কারাগারে ডে কেয়ার সেন্টার, প্রিজন জেন্টস পার্লার ও স্টুডিও এবং বন্দী প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, বন্দী ব্যারাকের উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
এ সময় কারা মহাপরিদর্শক বলেছেন, সারাদেশে কারাগারে ১৪১ জন চিকিৎসকের পদ রয়েছে। কিন্তু সেখানে মাত্র ৯ জনের পদায়ন হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের সঙ্গে আমাদের গোলটেবিল বৈঠক হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ও এ বিষয়ে বৈঠক করেছে। প্রধানমন্ত্রীও এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই নির্দেশনার আলোকে কাজ চলছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন কারাবন্দীদের সকালের নাস্তা হিসেবে রুটি আর ১৪ গ্রাম গুড় দেয়া হতো। যা পরিবর্তন করে খিচুড়ি, সবজি রুটি ও হালুয়া রুটিতে পরিণত করা হয়েছে। যা একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আমি বিভিন্ন কারাগারে ঘুরে দেখেছি এতে বন্দীরা খুবই আনন্দিত ও প্রফুল্ল। এছাড়া আগে উন্নতমানের খাবারে বরাদ্দ ছিল ৩০ টাকা যা ৫ গুন বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করা হয়েছে।
এ সময় তার সাথে ছিলেন ডিআইজি (প্রিজন) টিপু সুলতান, জেলা কারাগারের জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ, জেলার শাহ্ রফিকুল ইসলাম, ডেপুটি জেলার তানিয়া জামান, আরিফুর রহমান প্রমুখ।