ফতুল্লা মডেল থানার মাসিক অপরাধ হালচিত্রে গত আগস্ট মাসের ৩১ দিনে বিভিন্ন অপরাধে ৫টি হত্যাসহ মোট মামলা রুজু হয়েছে ১০৬টি। এর মধ্যে মাদকজনিত মামলা রুজু হয়েছে ৫৪টি। এই মাসে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ ৭ লাখ ৪২ হাজার ৮’শ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ষ্টেটম্যান অফিসার এএসআই মাহমুদুল ইসলাম জানান, ফতুল্লা মডেল থানায় গত আগস্ট মাসের ৩১ দিনে মোট ১০৬টি মামলা রুজু হয়েছে। মামলাগুলো হলো- হত্যা (খুন) ৫টি, দ্রুত বিচার ৩টি, ধর্ষণ ৪টি, নারী ও শিশু নির্যাতন ৮টি, চুরি মামলা ৩টি, মারামারি (আদার সেকশন) মামলা ২৮টি, মাদকদ্রব্য মামলা ৫৪টি, পুলিশ আক্রান্ত ১টি। গত মাসে অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে মোট ৮টি।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ কর্তৃক উদ্ধার জনিত মাদকদ্রব্য হলো- ১৩৮১ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, হেরোইন ৩১ গ্রাম, গাঁজা ১ কেজি ৪’শ গ্রাম, ফেন্সিডিল ১ বোতল, দেশি মদ ১ বোতল (১ লিটার)। ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ আগস্ট মাসে সর্বমোট ৭ লাখ ৪২ হাজার ৮’শ টাকার বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। এছাড়া অন্যান্য উদ্ধারের মধ্যে রয়েছে স্বর্ণ সাড়ে ৩ ভরি, দশ লক্ষ টাকা সমমূল্যের চোরাইকৃত মেশিনের যন্ত্রাংশ, চোরাইকৃত অটোরিক্সা, ১৭০০০ টাকা মূল্যের চোরাই সয়াবিন তেল উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ফতুল্লা থানা পুলিশ আরো জানান, গত আগস্ট মাসে থানা পুলিশ জিআর ওয়ারেন্ট তামিল ৭৪টি এবং সিআর তামিল করেছে ৩০টি। আদালত কর্তৃক সাজা দেয়া ওয়ারেন্ট তামিল ৩টি। অন্যান্য নিষ্পত্তি ৭৩৪টি।
ফতুল্লা থানাধীন অনেক বাসিন্দা জানান,বিগত সময়ে চেয়ে বর্তমানে ফতুল্লা এলাকায় আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি ততটা সুবিধা নয়। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে। গত মাসের ২১ দিনের ব্যবধানে ৫টি খুনের ঘটনায় সাধারন মানুষকে অনেকটাই ভাবিয়ে তুলেছে।
বিভিন্ন এলাকায় পুলিশী নজরদারী কমে যাওয়ায় পাড়া-মহল্লায় উঠতি বয়সী অপরাধীর সংখ্যা বেড়েই চলছে। যার ফলে সংঘদ্ধ আপরাধসহ গনধর্ষনের সংখ্যা বেড়ে চলছে। থানা থেকে ডিউটিতে বেরিয়ে আনেক কর্মকর্তা নির্দিষ্টস্থানে বসে বসে সময় ব্যয় করার ফলে পাড়া-মহল্লায় পুলিশ নজরদারী একেবারেই তলানীতে পৌছেছে বলেই থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় ছোট-খাটো অপরাধ প্রবনতা বেড়েছে এবং মাদক বিক্রেতার সংখ্যা ব্যাপক হারে বেড়েছে।
সার্বিক দিক বিবেচনায় নাজুক হয়ে পড়েছে ফতুল্লা থানার আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি দাবী অনেকের।
পাগলা এলাকার আবু নাছের জানান,রাতের বেলায় আগে যদিও পুলিশ দেখা যেত কিন্তু বর্তমানে অনেকাংশে কম। যার দরুন উঠতি বয়সী কিশোররা সংঘবদ্ধভাবে পাড়ার বিভিন্ন অলিগলিতে অবস্থান নিয়ে ছোট-বড় বিভিন্ন প্রকারের অপরাধে জড়িত হচ্ছে। আমি পুলিশের কাছে অনুরোধ করবো তারা যেন সন্ধ্যার পড়ে কোন অলিগলিতে কিশোর বা যুবকদের সংঘবদ্ধভাবে আড্ডা দেয়াটা বন্ধ করেন এবং পুলিশী নজরদারীটুকু আরো ব্যাপকহারে বৃদ্ধি করেন।
আবু নাছেরের মত থানাধীন বিভিন্ন এলাকার সাধারন মানুষও চান পুর্বের ন্যায় বর্তমানে যেন প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় উঠতি বয়সী কিশোর-যুবকদের গভীর রাত্র পর্যন্ত আড্ডাবাজি বন্ধ করেন তাদের কড়া পুলিশিংয়ের মাধ্যমে।