নারায়ণগঞ্জ বন্দর শিশুবাগ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের তফসিল ঘোষনাকে নাটকীয় কারন দেখিয়ে আদালতে মামলায় এখন আলোচনার-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাড়িয়েছে। গত ২৪সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনী তফসিল বাতিল চেয়ে বন্দর শিশুবাগ বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক সামীউল ইসলাম বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালতে মামলা দায়েরের পর অভিভাবকদের মাঝে এক অজানা শংকা বিরাজ করছে।
এ মামলায় ১০ জনকে বিবাদী করে মামলা দায়ের করা হয়। এরমধ্যে বিবাদীরা হচ্ছে যথাক্রমে বন্দর শিশুবাগ বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি এ কে এম কুতুবউদ্দিন খান, সহ-সভাপতি মোঃ সুলতান খাঁন,সাধারণ সম্পাদক কাজী নাছির,অধ্যক্ষ রোখসানারা বেগম,ব্যবস্থাপনা পরিষদের সদস্য মোঃ মোশারফ খাঁন,মোঃ সাইফুল ইসলাম শ্যামল, কাজী জহিরুল ইসলাম,মোঃ আতিকুর রহমান মাসুম,মোঃ শাহ আলম ও জান্নাতুল ফেরদৌস।
এ ব্যাপারে মামলার আইনজীবীগন বলেন,সভাপতি এককভাবে তফসিল ঘোষণা করতে পারেনা। তিনি এখনো ভোটার তালিকাই তৈরি করেননি। এ ধরনের তফসিল অবাস্তব তাই এটা বেআইনি বাতিল ঘোষণা হওয়া উচিৎ। ভোটার তালিকা প্রকাশ না করে এবং নির্বাচন কমিশন বা নির্বাচন পরিচালনা পরিষদ গঠন না করে সভাপতির তফসিল ঘোষণা বিতর্ক তৈরি করেছে। তিনি সহ তার কমিটির মেয়াদ আগামী ১০ তারিখে শেষ হবে। এর পর তিনি কিভাবে নির্বাচন পরিচালনা করে। এটা অবৈধ ও এখতিয়ার বহিঃর্ভূত।
মামলার বাদী সামীউল ইসলাম জানান,এ নির্বাচন এককভাবে তফসিল ঘোষণা করেছে যা নেহাৎই অপ্রাসঙ্গীক। বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১০ অক্টোবর। বর্তমান সভাপতি তার পদ স্থায়ীত্ব করতে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে নিজেই তফসিল ঘোষণা করেন। যা সভাপতি কিংবা পরিচালনা পর্ষদের তফসিল ঘোষণার এখতিয়ার গঠনতন্ত্র বর্হিভূত।
তথ্যসুত্রে,১৯৭০ সালে বন্দর শিশুবাগ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টি নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি ও বেসরকারী বিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুসারে পরিচালিত হয়ে আসছিল। তবে ২০১০ সালে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের পর থেকে মেয়াদোত্তীর্ন হওয়ার পরেও পরবর্তীতে কোন নির্বাচনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।
তৎকালে ম্যানেজিং কমিটি অভিভাবকদের স্বার্থকে অগ্রাহ্য করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল ও আজীবন স্বপদে থাকার জন্য রেজুলেশন করে নীতিমালা ভঙ্গ করে বিদ্যালয় পরিচালনা করে আসছিল যা সম্পূর্ণ বেআইনী ও অবৈধ। অভিভাবকদের ইচ্ছা ও আগ্রহ থাকা স্বত্বেও তারা নির্বাচন না দিয়ে অবৈধ ভাবে পরিচালনা করে আসছিল।
এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা জানায়,বন্দর শিশুবাগ বিদ্যালয় একটি স্বনামধন্য বিদ্যাপিঠ। কোমলমতি শিশুদের শিক্ষালয়ের স্থান। এ বিদ্যালয়টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে। আমরা এ বিদ্যালয়ে সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যদের নিয়ে গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি শিক্ষাবান্ধব কমিটি আশা করছি।