জাতীয় শ্রমিকলীগের অন্তর্ভুক্ত (বি আই ডব্লিউ টি এ) এর সিবিএ’র সংগঠনের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করছেন মুজিবুর রহমান গংরা। একই অথোরিটিতে থাকার পরও কর্মচারীদের ন্যায দাবি আদায়ের এই সংগঠনের বিরুদ্ধে মামলা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংস্থাটিতে কর্মরত কর্মচারীরা।
এসময় ক্ষোভ প্রকাশ করে সংস্থাটিতে কর্মরত কয়েক জন কর্মচারীরা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি আমাদের চাওয়া পাওয়ার বিষয় মাথায় রেখে, জাতীয় শ্রমিক লীগের অন্তভুক্ত করে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে সারা দেশে একটি সংগঠন গঠন করে দেন যার নাম ‘সি বি এ’।
আর ইতিমধ্যেই আমরা এই সংগঠনের মাধ্যমে সরকারী চাকুরী জীবী হওয়ার পরও আমাদের দাবী প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহজেই পৌছাতে পেরেছি। যার মধ্যে অনেক দাবী মেনে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সাথে আরও অনেক দাবী আছে যা সময়ের সাথে সাথে মেনে নিবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
কিন্তু এই সংগঠনটি গঠন করার পর থেকেই ‘বি আই ডব্লিউ টি এ’ এর কর্মরত মুজিবুর রহমান যিনি মেডিক্যাল এটেন্ডডেট হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি ধারাবহিকতার সহিত এই সংগঠনটির বিরুদ্ধে হয়রানী মূলক মামলা করে যাচ্ছেন। অথচ তিনি ওষুধ চুরির দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৬ সাময়িক ভাবে বরখাস্ত হন।
প্রায় দীর্ঘ ৪ বছর যাবৎ তিনি সাময়িক ভাবে চাকরী থেকে বরখাস্ত রয়েছেন। তার পরও তিনি এই সংগঠনটির বিরুদ্ধে মামলা করে যাচ্ছেন। আর তার সাথে যুক্ত হয়েছেন মাকসুদুর রহমান যিনি শুল্ক আদায়কারী হিসেবে বর্তমান ‘বি আই ডব্লিউ টি এ’ কর্মরত আছেন। আরেক জন রয়েছেন রেকর্ড কিপার সনজিদ কুমার দাস। তাদের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ রয়েছে।
মাকসুদুর রহমান যিনি ২০১৬ সালে নারায়ণগঞ্জ ‘বি আই ডব্লিউ টি এ’ এর কর্তৃক বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল ত্যাগ ও দৈনিক হাজিরা খাতায় অগ্রীম স্বাক্ষর করার অপরাধে প্রবিধানমালা ১৯৯০ এর ৪১(১) প্রবিধান অনুসারে সাময়িক বরখাস্ত হন।
অপরদিকে, রেকর্ড কিপার সনজিদ কুমার দাস ১৭ জুলাই ২০১৭ সালে ঢাকায় কর্মরত আসিফ উজ জামান নিণ¥ সহকারীর নিকট হতে কয়েকজন কর্মচারীদের বেতন শীট নিয়ে যাওয়া সহ অপ্রীতিকর ঘটনা ও ধস্তাধস্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রবিধানমালা ১৯৯০ এর ৩৫(ক) ৩৫ (খ) এবং ৩৫(ছ) অনুশারে দায়িত্ব অবহেলা, অসদাচরণ, নাশকতার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়।
তারা আরও বলেন, ‘বি আই ডব্লিউ টি এ’ তে ১৯৬৯ থেকে ২০১৫ সাল পযর্ন্ত আওয়ামী লীগের কোন সংগঠন এই সংস্থাটি ছিলো না। এই প্রথম ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে এই সংস্থাটি শ্রমিক লীগের অন্তর্ভুক্ত হয়ে আবুল হোসেন সভাপতি ও রফিকুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে আমাদের প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
এই কমিটি করার ৩ মাস পর থেকেই মুজিবুর রহমান, মাকসুদুর রহমান, সনজিদ কুমার দাস মিলিত হয়ে গঠিত সংগঠনটির বিরুদ্ধে হয়রানী মূলক মামলা করে যাচ্ছে।
প্রায় ৪ বছর যাবৎ মুজিবুর রহমান চাকরী থেকে সাময়িক বরখাস্ত থাকার পরও কিভাবে মামলা পরিচালনা করে আসছেন তা আমাদের জানা ছিলো না। পরে খোজ নিয়ে জানতে পারি বিএনপি ও জামায়তের সমর্থন নিয়ে মাদক ব্যবসা করে মামলার খরচ চালাচ্ছেন।
অপরদিকে, মাসুদুর রহমান ২০১৮ সালে চুরি ও ডাকাতির মামলায় কেরানীগঞ্জ জেল হাজতে ছিলেন। আর ২০১৮ সালে টেন্ডার জালিয়াতিতে ধরা পরে কন্টেকটরের হাতে ধোলাই খেয়ে গুরুত্বর আহতহয়। পরে ‘বি আই ডব্লিউ টি এ’এর খুলনার কর্মচারীরা তাকে উদ্ধার করেন।
আমরা এই তিন দুনীর্তিগ্রস্থদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহবান করছি।