নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীর ঝুট ব্যবসায়ী মো.কামরুজ্জামান চৌধুরী ওরফে সেলিম চৌধুরী হত্য্র পরিকল্পনাকারী মো.আলী হোসেনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার ( ২৮ সেপ্টেম্বর ) রাতে জেলার আড়াইহাজার থানাধীন নয়নাবাদ গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে আলী হোসেনকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক মো.শরিফুল ইসলাম ও সহকারী উপপরিদর্শক মো.তাওেশ আজিজসহ সঙ্গীয় টিম।
ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক মো.শরিফুল ইসলাম জানান,বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করার ফলে আমরা ব্যবসায়ী সেলিম চৌধুরীর মুল পরিকল্পনাকারী আলী হোসেনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। গ্রেফতারকৃত আলী হোসেন মো.আবদুল হালিম এর ছেলে। অদ্য সোমবার আসামী আলী হোসেনকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদানের জন্য আদালতে প্রেরন করছি।
প্রসঙ্গত, গত (১০ এপ্রিল) নিখোঁজের ১০ দিন পর কাশীপুরের ভোলাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মোহাম্মদ আলীর ঝুটের গোডাউন থেকে মাটি খুঁড়ে ঝুট ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান চৌধুরী ওরফে সেলিম চৌধুরীর (৫২) মরদেহ উদ্ধার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ। এ ঘটনায় হত্যাকান্ডের মূলহোতাসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
তারা হলেন, হত্যাকান্ডের মূলহোতা ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী (৫০), কর্মচারী ফয়সাল (২৮) ও ইউনুস (২৮) সহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ফয়সাল ফতুল্লা ডিকরীরচর এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
গত ৩১ মার্চ দুপুরে ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী সেলিমকে টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলে ঐ গোডাউনে ডাকে। সেলিমকে মোহাম্মদ আলী তার কথা মত ২ লাখ ৬ হাজার টাকা দেয়। টাকা দেয়ার সময় কর্মচারী সে, লেবার আলী ও আরো একজন সামনেই উপস্থিত ছিলো।
সেলিম টাকা নিয়ে বের হওয়ার সময় আলী তার ঘাড়ে রড দিয়ে সজোরে আঘাত করে। আঘাতের পরপরই সেলিম মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার মুখ, হাত-পা বেঁধে ফেলা হয়।
পরে আহত অবস্থায় ৩১ মার্চ রাতেই মোহাম্মদ আলীর নির্দেশে গোডাউনের একপাশে সেলিমকে বস্তাবন্দি করে মাটি চাপা দিয়ে পুঁতে রাখা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত সেলিম চৌধুরী বক্তাবলীর কানাইনগর এলাকার মৃত শামসুল হক চৌধুরীর ছেলে। সেলিম চৌধুরী শিবু মার্কেট এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতো এবং শহরেই ব্যবসা করে আসছিল। গত ৩১ মার্চ সকালে বাসা হতে ব্যবসার কাজের উদ্দেশ্যে বাহির হয়ে যায়।
ঐদিন বেলা ১১টার দিকে সেলিম চৌধুরীর স্ত্রী রেহানা মোবাইল ফোনে তার স্বামীর অবস্থান জানতে চাইলে সেলিম চৌধুরী জানিয়েছিল সে ফতুল্লার পঞ্চবটি মোড়ে ইস্টার্ন ব্যাংকে রয়েছে। এরপর দুপুর ২টায় খাবার খাওয়ার জন্য ফোন করলে সেলিম চৌধুরীর ব্যবহৃত মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
সেলিম চৌধুরীকে বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করে না পেয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় সাধারন ডায়েরী দায়ের করেন তার স্ত্রী।