প্রতিবারের ন্যায় এবারেও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ উৎসব শারদীয় দূর্গা উৎসবে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান। এ বার তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন মোট ৬৭টি পূজা ম-পের মোট ২০লাখ টাকা আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করেছেন। তাঁর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এ আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায় শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে অবস্থিত সমবায় কনভেনশন সেন্টারের কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগরে নেতৃবৃন্দের সাথে মত বিনিময় সভায় নেতৃবৃন্দের হাতে চেক তুলে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান।
এ সময় জেলা ও মহানগর এলাকার ৫ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন ভাবে দূর্গা পূজা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে করনীয় সম্পর্কে উক্ত মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় এমপি সেলিম ওসমান ১১ বারের মত সিআইপি এবং বিকেএমইএ পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনে ৫ম বারের মত নির্বাচিত হওয়ার বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর কমিটি, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ ও শ্রী শ্রী ঠাকুর অনূকুল চন্দ্র সৎ সঙ্গের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
এ সময় এমপি সেলিম ওসমান বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। শারদীয় দূর্গ পূজা উৎসব সবাই ঐক্যবদ্ধ থেকে উদযাপন করবেন। যাতে করে সারা বাংলাদেশের মানুষ নারায়ণগঞ্জের দূর্গা উৎসবের প্রশংসা করে। কেউ কোথাও কোন প্রকার গুজবে কান দিবেন না।
আমলাপাড়া কে নিতাইগঞ্জ পর্যন্ত প্রতি পূজা ম-পে যেন নিরাপত্তার স্বার্থে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। আর দিনের একটি বিশেষ সময়ে যে নারীদের পূজা দেখার জন্য বিশেষ সুযোগ করে দেওয়া হয়। প্রতিটি পূজা ম-পে থানা পুলিশ, র্যাব, ফায়ার সার্ভিস এর দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের মোবাইল নাম্বার লাগিয়ে দিবেন যাতে করে কোন প্রকার দুর্ঘটনা যেন দ্রুত তাদের সাহায্য নিতে পারেন। এছাড়াও বিজয়া দশমীর দিন আপনারা নিজেরা শৃঙ্খলা বজায় রাখবেন।
যদি সময় হয় প্রতিটি পূজা ম-প নিদিষ্ট আলাদা সময়ে বিসর্জন করবেন। সবাই যাতে একত্রে বিসর্জন স্থলে গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয়। এছাড়াও পূজার সময় আরতি অনুষ্ঠানে আয়োজন করে পুরস্কারের ব্যবস্থা করার জন্য নেতৃবৃন্দের কাছে অনুরোধ রাখেন তিনি।
উল্লেখ্য এ.কে.এম সেলিম ওসমান ওসমান ২০১৪ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর নিজ নির্বাচনী এলাকার আওতাধীন সদর ও বন্দর থাকা এলাকায় ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত ৫৫টি দূর্গা পূজা মন্ডপে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত ৬৩টি দূর্গা পূজা মন্ডপে প্রত্যেককে ১৫ হাজার টাকা করে মোট ৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা,
২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ৬০টি দূর্গা পূজা মন্ডপে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে মোট ১২ লাখ টাকা, ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত ৬৪টি দূর্গা পূজা মন্ডপে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ১৬ লাখ টাকা, ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত ৭৪টি দূর্গা পূজা মন্ডপে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ১৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদান প্রদান করেছেন।
বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি দিপক সাহার সভাপতিত্ব এবং জেলার সাধারণ সম্পাদক শিপন সরকারের সঞ্চালনায় মত বিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আবুল জাহের, বন্দর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সানু,
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আসাদুজ্জামান, বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) রফিকুল ইসলাম, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি পরিতোষ কান্তি সাহা, লাঙ্গলবন্দ ¯œান উদযাপন পরিষদের সভাপতি সরোজ কুমার সাহা, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি অরুন দাস, সাধারণ সম্পাদক উত্তম সাহা, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত হাসেম শকু,
১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, গোগনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নওশেদ আলী, বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এহসান উদ্দিন, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, মদনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম.এ সালাম, ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ সহ সকল ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডের সদস্যবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।