নারায়ণগঞ্জ বন্দরে সোর্স বাবু শিকদার এখন সাধারন মানুষের মূর্তীমান আতংক। বন্দর থানার কতিপয় পুলিশের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে এখন সে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। সাধারন মানুষকে জিম্মি করে গ্রেফতারের ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা বানিজ্য,পুলিশের সোর্স পরিচয়ের অন্তরালে মাদক ব্যবসা পরিচালনাসহ নানা অপকর্ম করে বেড়ায় এই বাবু শিকদার।
বিভিন্ন এলাকার খুচরা মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মাসোহারা,অবৈধ গ্যাস সংযোগ,মোবাইল চোর সিন্ডিকেট লালণসহ নানা অবৈধ কর্মকান্ডের হোতা এই বাবু শিকদার। এই বাবু শিকদার নামে সোর্সদের কারনে পুলিশের ভাবমূর্তি ব্যপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তবে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে সোর্সদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। যে কোন অপরাধ কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকলে আইনের আওতায় আনা হবে।
বাবু শিকদারের মত সোর্সদের ভুয়া তথ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যেমন অনিশ্চিত বিপদে পড়ছে তেমনি দুর্বল মানুষও নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তাদের অত্যাচারে এলাকার যুবকরা মাদকের দিকে ধাবিত হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার পরিবেশ দিনে দিনে কমে যাচ্ছে।
সূত্র হতে জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী সোর্সদের পেশার পরিচয় গোপন রাখার কথা।
কিন্তু বর্তমানে ডিজিটাল সময়ে তা হিতে বিপরীত। নিজেদের প্রভাব বিস্তারে যেন সোর্সরা মেতে উঠেছে। পুলিশের গাড়ীতে প্রকাশ্যে চলাফেরা করা ছাড়াও পুলিশকে পুজি করে সাধারন মানুষকে ভয় দেখানোর অভিযোগও বাবু
শিকদারের বিরুদ্ধে অহরহ। মাদক ব্যবসায়ীরা এই বাবু শিকদারের মাদকদ্রব্য বিক্রি না করলেই সেই খুচরা মাদক ব্যবসায়ীর উপর নির্যাতনের খরগ নেমে আসে। তখনই পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করায়।
বিভিন্ন মাদকের স্পট থেকেও সে মাসোহারা পেয়ে থাকে। আর তাকে কোন মাদক কারবারি টাকা না দিলেই পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার অভিযান করায়। অযথা হয়রানি করে সাধারণ মানুষকে আটক করে যা কিছু আছে সব কেড়ে নেয়।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন,সোর্সদের দ্বারা তল্লাশী পরিচালনা করার কোন বৈধতা নেই। এ ব্যাপারে কেউ এহেন কাজ করলে সে যেই হোক কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। সোর্স বাবু শিকদারের হাত থেকে পরিত্রান পেতে এলাকাবাসী জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।