সোনারগাঁয়ের চিহ্নিত ভূমিদস্যু আল-মোস্তফা গ্রুপ মামলায় হারার পর বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক এবং জাতীয় দৈনিক মুক্ত খবর পত্রিকার সোনারগাঁও উপজেলা প্রতিনিধি নির্মল কুমার সাহার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে নির্মল কুমার সাহা জানান, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ণের সাতভাইয়া পাড়া মৌজা এবং পিরোজপুর ইউনিয়নের চরলাউয়াদী মৌজায় সাবকবলা মূলে বিগত ৩০ বছর আগে সাহাপুর এলাকার তমিজউদদীন গংদের নিকট থেকে এস.এ-১৫৬ এবং আর.এস-১৬৮নং দাগে ১০শতাংশ জমি ক্রয় করি এবং পরবর্তীতে ২০১২ সালে আরএস-১০ দাগে আরোও সাড়ে ২১ শতাংশ জমি ক্রয় করে আমরা শান্তিপূর্নভাবে ভোগ দখল করে আসছি।
পরবর্তীতে আমাদের জমির পাশে যে সরকারী খাস জমি আছে তা আমার নামে সরকার থেকে লীজ নিয়েছি। আমি লীজ নিয়ে রাস্তা হিসেবে সকলের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছি।আশেপাশের সবাই সেই রাস্তা ব্যবহার করছে। তাছাড়া আমার জমির পাশের জমির মালিক আব্দুল আজিজ।
তিনিও তার জমির পাশের সরকারী জমি লীজ নিয়ে ব্যবহার করছেন। যেহেতু আমার জমি লিজ নেয়া তাই অবৈধভাবে দখল করার প্রশ্নই আসে না। আমি আমার জমিতে কাজ শুরু করার পর আল-মোস্তফা গ্রুপ আমার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
আমার সকল কাগজপত্র দেখে ও দীর্ঘ শুনানীর পর বিজ্ঞ আদালত আল-মোস্তফার মামলাটি খারিজ করে দেন। ফলে আমার কাজ করতে আইনগত কোন বাঁধা নেই। আমরা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোক হওয়ায় স্থানীয় একটি কূচক্রি মহল ভূমিদস্যু আল-মোস্তফা গ্রুপের মিথ্যা তথ্যের উপর ভিত্তি করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে।
আমি এই মিথ্যা অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে আমি একজন সংবাদ কর্মী হিসেবে সাংবাদিক ভাইদের কাছে অনুরোধ করবো আপনারা সরেজমিনে গিয়ে কাগজপত্র দেখে জমির নকশা দেখে সত্যটা তুলে ধরুন অযথা মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে সমাজে হেয় করার চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকুন।
এ বিষয়ে নির্মল কুমার সাহার আইনজীবী মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেন, বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত শুনানীতে আল-মোস্তফা গ্রুপের পক্ষে মামলার বাদীকে প্রশ্ন করেন মামলার বিবাদী নির্মল কুমার সাহাকে চিনেন কি না?
এসময় মামলার বাদী চুপ থাকেন। পরবর্তীতে আদালত মামলার বাদীকে ঘটনার সময় সম্পর্কে জানতে চাইলে বাদী বলেন সকাল ৯ টায় ঘটনা ঘটে, কিন্তু মামলার অভিযোগে লিখেন বিকাল ৫ টা।
পরে আদালত আসামীদের সংখ্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে বাদী বলেন ৫-৬ জন আসামী ছিলেন, কিন্তু অভিযোগে লিখা ছিলো ১৫ থেকে ২০ জন। এসময় আদালত বাদীকে ঘটনার তারিখ জিজ্ঞাসা করলে, তাও বলতে পারে নি মামলার বাদী।
পরবর্তীতে দীর্ঘ শুনানীর পরে বিজ্ঞ আদালত মামলার বাদীকে ভৎসনা করে মামলাটি নথিজাত বা খারিজ করে দেয়। বিরোধপূর্ন জায়গা নিয়ে আদালতের কোন নিষেধাজ্ঞা আছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাড. কামাল হোসেন বলেন, যে মামলা খারিজ হয়ে গেছে, তার আবার নিষেধাজ্ঞা থাকে কিভাবে?
উল্টো আমার ক্লাইন্ট নির্মল কুমার সাহা ইচ্ছে করলে আল-মোস্তফা গ্রুপের বিরুদ্ধে মানহানি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগে মামলা করতে পারে।