উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চররমজান সোনাউল্লাহ মৌজার মেঘনা নদী ও এর শাখা নদী দখল করে বালু ভরাট করছিল শাহাজালাল নামের এক ঠিকাদার। অবৈধ ভাবে মেঘনা নদী ও এর শাখা নদী ভরাটের খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ওই এলাকায় বালু ভরাটসহ সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ নাজমুল হুসাইন সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে এ কার্যক্রম বন্ধ করে দেন।
সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ নাজমুল হুসাইন জানান, পিরোজপুর ইউনিয়নের চর রমজান সোনাউল্লাহ মেঘনা নদী ও তার শাখা নদী ভরাট করছিল কয়েকজন নদী খেকো। এর আগে এ নদী খেকোরাই এ জায়গাটি ভরাটের চেষ্টা করেছিল। তখনও আমরা তাদের ওখান থেকে উচ্ছেদ করে তাদের ড্রেজার ভেঙ্গে ও পাইপ লাইনগুলি কেটে দিলে এসেছিলাম।
সে সময় অবৈধ বালু ভরাটের দায়ে ২১জনকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছিল। গতকাল বুধবার শুনলাম তারা নাকি আমার নাম বিক্রি করে সে জায়গায় পুরনায় বালু ভরাটের চেষ্টা করছে।
খবর পেয়ে আমি পুলিশ নিয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করে বালু ভরাট বন্ধ করে দিয়েছি এবং সেখানে লাগনো পাইপ ও ড্রেজারকে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছি। এজন্য তাদের ১ ঘন্টা সময় বেঁধে দিয়েছি। আমার দেয়া নির্ধারিত সময়ে মধ্যে ড্রেজার পাইপ না সরালে বালু ভরাটকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্টান শাহাজালাল ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের গ্রেফতার করা হবে বলেও নির্দেশ প্রদান করেছি।
তিনি আরো বলেন, মের্সাস শাহাজালাল ট্রেডিং কোং নামের একটি বালু ভরাট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাদের লিজকৃত সম্পতি গজারিয়া চরবেতাগি এলাকায় বালু না ফেলে মেঘনা নদী ও এর শাখা নদীর উপর পিরোজপুর চররমজার সোনাউল্লাহ মৌজার মেঘনা পাওয়ার স্ট্রেশনের সরকারী ৪০ একর নিচু সরকারী জমিতে বালু ভরাট করছে।