নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, গত ১০ বছরে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। নৌখাত অনেক বিকশিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যত চ্যালেঞ্জ ছিল সবগুলো সফলভাবে মোকাবেলা ও প্রতিবন্ধকতা দূর করে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অথচ বিএনপির নেতৃত্বে আইনের শাসন রহিত করা হয়েছিল।
জিয়াউর রহমানের ইনডেমনিটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতা হত্যার বিচার বন্ধ করে দিয়েছিল। পরে ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার বিচার কাজ শুরুর পরে বিচারের রায় ঘোষণা হলেও বিএনপি জামায়াত জোট সরকার সেই বিচার ৫ বছর বন্ধ করে রেখেছিল।
২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারো বিচার প্রক্রিয়া শুরুর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের সাজার রায় কার্যকর হয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে যারা পেছনের দিকে নিয়ে যেত সেকল স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচারকাজও শুরু হয়েছে যা এখনো চলমান রয়েছে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি এই দু’টি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার সফল। সরকারের দৃঢ় অবস্থানের কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সকল ষড়যন্ত্রকারীদের শুধু প্রতিহতই নয় নিয়ন্ত্রনও করতে সক্ষম হয়েছে।
সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার কারণে আজকে দেশে গণতান্ত্রিক আবহাওয়ায় ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। সমগ্র বিশ্বেই বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ২০তম অবস্থানে রয়েছে। আগামী দিনে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার চালিকাশক্তি হবে। বাংলাদেশকে কেউ পেছনের দিকে টেনে ধরতে পারে নাই ভবিষ্যতেও পারবেনা। এর অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে পদ্মা সেতু যার সঙ্গে থাকতে না পেরে এখন বিশ্বব্যাংকও দুঃখ প্রকাশ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমান করেছেন বিশ্বব্যাংক নয় বাংলাদেশের জনগণই পারে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে।
রবিবার দুপুরে সোনারগাঁয়ের মেঘনাঘাটে আনন্দ শিপইয়ার্ডে কিল লেয়িং এর মাধ্যমে ৪৫টি টার্মিনাল পন্টুন নির্মাণকাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী। আনন্দ গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহেল বারীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ,
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব-উল-ইসলাম, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার, আনন্দ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফরোজা বারী, উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার, নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম, পরিচালক (কারিগরি) সাইফুল ইসলাম, পরিচালক আব্দুল্লাহ নওরোজ প্রমুখ।
বাংলাদেশ আভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী ৪৫টি টার্মিনাল পন্টুন নির্মাণের কার্যাদেশ বাস্তবায়ন করবে আনন্দ শিপইয়ার্ড এন্ড স্লিপওয়েজ লিমিটেড (এএসএসএল)। চুক্তি অনুযায়ী ১৮ মাসের মধ্যে পন্টুন সরবরাহ করবে আনন্দ শিপইয়ার্ড।
এ কাজের জন্য আনন্দ শিপইয়ার্ডকে ৯৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা দিবে বিআইডব্লিউটিএ। ঢাকার সদরঘাট, পাগলা, মিরকাদিম, নারায়ণগঞ্জ, ফতুল্লাসহ দেশের বিভিন্ন বন্দরে এসব পন্টুন স্থাপন করা হবে।