“আজও আমি খুজি,,,কোথায তুমি??” কেন তুমি হারিযে গেলে, আমার অক্ষত পৃথিবী থেকে।
আজ বহু বছর পরেও জীবনের শেষ প্রান্তর দাড়িযে,, আমি শুধু তোমকেই খুজি। যদি একবার তোমাকে দেখতে পেতাম। একবার তোমার চরণ স্পশ করতে পারতাম। নিজের ভুলটা তোমার কাছে স্বীকার করতাম। আর বলতাম,,,সেদিন আমি তোমাকে অফুরন্ত ভালোবেসে ছিলাম।
যখন আমার আপনজনেরা আমাকে আগলে রাখেনি আমার কষ্টে,,,তুমি বন্ধু,, হ্যা,আমার জীবনের একটা বড় অংশ জুরে রযেছে। আজ,,,সে তুমি আমাকে ফোনের ঐপাশ থেকে,,, শক্তি, সাহস, আর অভয দিতে,,,বলতে, অরুনিমা তুমি পারবে,,,তোমার সব আত্নমযাদা ফিরিযে আনতে,,,তুমি পারবে,নিজের একটা নিজস্ব জগৎ তৈরি করতে। যেখানে সব তোমার হবে, শুধু তোমার,,,কেউ পারবে না তোমাকে তোমার জাযগা থেকে ফেরাতে। অরুনিমা, শুধু কেদেই চলতো, আর বলতো,, জানো অনব, আমি পারবো না নিজের জন্য লড়াই করতে,পারবো না,,পরিবারেরর সাথে ছলনা করতে,আমি যেমন আছি তেমনটাই থাকবো। তুমি আমাকে নতুন আলোর পথ দেখাবে না।
গল্পের শুরুতে দুই লাইন কবিতা বা কথা যাই পড়লেন এটা লেখার পিছনে কিছু কারন তো অবশ্যই আছে। আর সেটা বুঝতে হলে কিছুটা অপেক্ষা তো করতেই হবে। এটা আমার জীবনের কিছুটা অংশ আমার পাঠক সমাজের জন্য তুলে ধরেছি। জানি আমি লিখতে পারি না তবুও চেষ্টা করেছি নিজের দুঃখ গুলো আপনাদের সাথে ভাগ করার। তবে আমার ভুলগুলো অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আপনাদের উৎসাহই আমাকে লিখতে সহযোগীতা করবে।
আজকাল নতুন আলোকে বড় বেশি ভয হয,,,মনে হয চোখটা আমার জ্বলে যাবে, আর অণব,বলতে তুমি চারপাশটা দেখ অরুনিমা, কত সুন্দর? সব কিছু তোমার জন্য অপেক্ষায় আছে। তোমার কাছে ধরা দিবে বলে,,,অরুনিমা কিছুই বুঝতে চায় না। শুধু হতাশা আর ব্যথিতা কুড়ে কুড়ে খায, তার সংসার জীবনকে।
অরুনিমার খুব ছোট বেলায বিয়ে হযে যায়, যখন তার ভালোবাসা কথা। ফুলপাখি নিযে ভাববার কথা ঠিক তখনই তার বিযে,১৮বছরের কিশোরীর জীবনে ১২বছরের পার্থ্যক এক যুবক । কি করবে অরুনিমা পরিবারে কথা অমান্য করলে সব জারাতে হবে,বাধ্য হযে বিযের পিড়িতে বসা, বিয়ে হযে গেল,অরুনিমার, বন্ধুরা যার খুব প্রিয় ছিল,,,আজ তাদের কে ছাড়তে হলো চিরতরে,,।
লেখাপড়া,নিজের নিজস্ব ইচ্ছা,,,আত্নমযাদা, বাবা মা,ভাই বোন, সব ছেড়ে অরুনিমা হযে গেলো একদম সংসারি। কিন্ত তার স্বামীর পরিবার ছিল খুবই জটিল, শ্বাশুরি,ননদের কারনে একটা প্রানী পযর্ন্ত বাসায আসতে পারতো না, অরুনিমা কি ভাবে চলবে,?কিন্ত কি আর করার,সব মেনে নিল,সে,তার কোনো কাজের বিঘ্ন ঘটলে তাকে সবাই কথা শুনাতো,,,খোটা দিতে চিৎকার চেঁচামেচি তে পুরোটাবাড়ি কাপতে,আর বেচারি অরুনিমা ভযে সারাটাদিন থাকতো না জানি কি হয,।
এক সময অরু কন্যা সন্তানের মা হয,তাতে কেউখুশি নয,অরুর পরিবারে সবাই কথা শুনাতো কেন কন্যা সন্তান হলো। স্বামীকে তার কোনো দিনই কাছে পেতো না,,, শুধু স্বামীর প্রয়োজন ছাড়া,। কোনো গল্প করতে পারতো না,নিজের শখ আহ্লাদ পুরন করতে পারতো না, স্বামীও তার পবিবারে পক্ষে থাকতো আর অরুনিমাকে দোষ দিতো। কি আর করবে অরু মুখ বুজে সব সহ্য করতো।আর চোখের পানি ফেলতো।
অরু তার মেযে অবনিতাকে নিযে খুব কষ্টে জীবন যাপন করতে থাকে শ্বশুড় বাড়িতে, সবার জন্য মজার মজার খাবারের নানা আযোজন করতো। সবাইকে বেড়ে খাওযাতো, অরু আর অবনিতা যখন সবার খাওযা শেষ হলে খেতে বসতো প্রাযই খাবার থাকতো না হাড়িতে। আর ছোট ৩/৪বছরের অবনি খুব কাঁদতা,, পেটের ক্ষুধাতে। আর অরুর চোখের পানি ছাড়া আর কিছুই ফেলতো না।
দেখতে দেখতে ৮বছর পার করলো নিজের সংসার জীবনে,গর্ভে আসল সন্তান, শ্বশুড় বাড়িতে তখন দ্বায়িত্ব না অত্যাচারে পরিমান বেড়ে গেল, কিছুই করতে পারিনি অরু,মুখ বুজে সব সহ্য করতো,লাইট,ফ্যান,সব সময অরুর জন্য বন্ধ ছিল,টিভি দেখা,কারো সাথে গল্প করা সব বন্ধ ছিলো। অরুর জীবন ছিল বিভীসিকাময়। সারাদিন শুধু খেটই যাও। অরুর মা বাবা ছিল খুব সহজ সরল।
মেযেকে বিয়ে দিতে পারলে যেন দ্বায় মুক্ত। কোনো কথা বলতে পারতো না। বললে,বলতো সব দোষ তোমার। হযতো অরু ভাগ্য ভেবে সব মেনে নিল। হঠাৎ একদিন অরু গভের দ্বিতীয় সন্তান টা সময়ের আগে পৃথিবীতে চলে আসে। কিন্তু কি ভাগ্য এতটুকু শিশুটা অরুনিমা গর্ভে অনাদর আর অবহেলায, অত্যাচারে হঠাৎ করে আসে পৃথিবীতে। ভূমিষ্ট হওযার পর শিশুটির অবস্হা খুব শোচনীয ছিল।
অরু জানতো তার সন্তানটি বাঁচবে না। কেউ ছিল না অরুনিমার পাশে, স্বামী তো টাকা দিযেছে ঠিকই।কিন্ত কন্যা সন্তান আবারো হওয়াতে তার সন্তানটি প্রতি খুব ঘৃনা সৃষ্টি হয,,,,তাকে সব সময গজব বলে উপাধি দেয়। একা অরুনিমার হাসপাতালে লড়াই করেন সন্তানকে বাঁচানো জন্য, নিজের রক্ত পযন্ত দিযে ছিল,কিন্তু ভাগ্যের নিমম পরিহাস সন্তান টা না ফেরার দেশে চলে গেল, সসন্তানের পিতা একবারো দেখতে এলো না,তার নিজের সন্তানকে, সবাই অরুকে আর তার মৃত সন্তানকে দোষ দিলো।
অরুনিমা পিতামাতা অরুনিমার সন্তানকে দাফন করল, সব কিছু মুখ বুজে সহ্য করে আবার অরুনিমার স্বামীর সংসার করতে লাগলো, অত্যাচার আরো বেড়ে গেল।কিছুই করার ছিল না অরুনিমার। আবার গর্ভে সন্তান আসলো, অনেক কষ্ট,অত্যাচার সহ্য করে অবশেষে অরুনিমার পুত্র সন্তান হলো। আস্তে আস্তে অরুনিমার ভয় ভেঙ্গে গেল। জেদ চাপলো এটা তার সংসার তাকে কেউ বের করতে পারবে না। তার অধিকার তাকে আদায় করতে হবে। অবশেষে অরুনিমার জয় হলো সবাই তাকে আজ ভয় পায়। সমাজ তাকে সাপোর্ট করে। এভাবে কেটে যায কিছু কাল। তারপর আজ কেন এতোটা বছর পরে ও তার মধ্যে এতো কষ্ট হাহা কার??????
আসলে অরুনিমার স্বামী আজও অরুনিমাকে ভালোবাসতে পারিনি,,,তার ছোট ছোট শখ,, আহ্লাদ পুরন করতে পারিনি। দেখতে দেখতে ১৯টি বসন্ত পার হযে গেল। অরুনিমা আরেকটা ছোট কন্যা সন্তানের জন্ম হলো,দুই মেযে একছেলে।সংসারের সব আছে শুধু স্বামীর ভালোবাসা আর স্ত্রীর অধিকার নেই। এখন অরুনিমা ক্লান্ত হযে কাউকে খোজে,,, কিছু কথা বলে হালকা হতে, সুখ দুখের আলাপ করতে,,একজন বন্ধুর প্রয়োজন তার।
হঠাৎ করে একজনের আগমন তার জীবনে, তাকে তার জীবনের সব কথা বলে, সে সাপোট করে, বলে অরুনিমা তুমি আগে নিজেকে ভালোবাসো,, দেখবে চারপাশটা খুব সুন্দর নিজের জন্যে কিছু কর,,দেখবে তুমি পারবে,,আজ অরুনিমা লিখছে নিজের কথা তার জীবনের কথা, সমাজের কথা।এক সময তার লেখা প্রচুর সারাপেল,অনেক সুনাম অর্জন করলো, সে তার ফোনের ঐপাশের বন্ধুকে জানাবে,, তার এই দিনের জন্য তার বন্ধুর অবদানের কথা, তাকে মনের অজান্তে ভালোবাসার কথা,,,সব বলবে সে স্বামী, সন্তানেরা আজ অরুনিমাকে নিযে গর্ভ করছে। একমাত্র ফোনের ঐপাশের বন্ধুর জন্য। অরুনিমা সংসার ভাঙ্গেনি।
তারপরেও সে আজ স্বাধীন,,, শুধু মাএ সেই অদেখা।বন্ধুর জন্য,,তাকে আজ দেখতে খুব ইচ্ছে করছে,,ফোন দিল অরু ফোন বন্ধ একদিন, দুদিন,তিনদিন,এভাবে দেখতে দেখতে কেটে গেল ১০টি বছর,আজ অরু নাম করা স্বনামধন্য লেখিকা। কত নাম ডাক তার,গৃহিণী থেকে একজন প্রতিবাদি লেখিকা। তার পরেও আজ সে একা। চোখ ভিজে যায বন্ধুর জন্য,,,খুব কাদছে কেদেই যাচ্ছে,,,,আর মনে মনে বলছে,”আজও আমি খুজি,কোথায তুমি, অদেখা”……।