সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন লক্ষীনারায়ণ কটন মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা নতুন করে নির্বাচন দিতে টালবাহানা শুরু করেছে। গত কয়েকদিন পুর্বে এ নিয়ে অনলঅইন নিউজ র্পোটাল জাগো নারায়ণগঞ্জ২৪.কম, দ্যা বাংলা এক্সপ্রেস, আলোকিত নারায়ণগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন২৪.কম, দৈনিক সময়ের নারায়ণগঞ্জ, দৈনিক ডান্ডিবার্তা, সোজা সাপটা, প্রতিদিনের নারায়ণগঞ্জ,স্বাধীন বাংলাদেশ,সচেতন,ভোরের সমাচার পত্রিকায় লেখালেখি করা হলেও তাতেও কর্নপাত করছেন না কমিটির বর্তমান সদস্যরা।
প্রকাশিত এ সংবাদটি নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল,আরামবাগসহ সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইলেও চোখ খুলেনি কমিটিতে ঘাপটি মেরে বসে থাকা সদস্যদের।
মুক্ত চিন্তায় এক ফেসবুকে কমেন্টস দিয়ে লিখেছেন,প্রধান শিক্ষক হিসেবে যিনি রয়েছেন তিনিতো এমডব্লিউ স্কুলের ফিজিক্যাল শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি কিভাবে একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক হন। তাকে তো এমডব্লিউ স্কুল থেকে অপমান করে বের করে দেয়া হয়েছিলো।
লক্ষীনারায়ণ কটন মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাংসদ শামীম ওসমানের সহধর্মীনি ও জেলা মহিলা পরিষদের সভানেত্রী সালমা ওসমান লিপি জানান, যদি অভিভাবকরা নির্বাচন চায় তাহলে অবশ্যই নির্বাচন হবে। তাছাড়া শুনেছি উক্ত এলাকায় কোন স্কুলেই নাকি নির্বাচন হয় না। তার এমন বক্তব্যে নিয়ে ফেসবুকে একজন কমেন্টস করে বলেন, সভাপতি লিপি ওসমান হয়তবা স্কুলের অনেক বিষয় সর্ম্পকে জানেন না।
তিনি শহরে বসে স্কুলের মিটিং করেন। গোদনাইল স্কুলের নির্বাচনের সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করে কোন প্রতিদ্দন্ধী না থাকায় সেখানে যারা নমিনেশন পেপার সংগ্রহ করেছিলেন তারাই বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বিগত নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপুর্নভাবে সুসম্পন্ন হয়। কিন্তু কমিটির সভাপতির নির্বাচন নিয়ে মতভেদ থাকার দরুন আদালতে মামলা হয়। ফলে সেখানে এডহক কমিটি বিদ্যমান।
উল্লেখ্য যে, সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন লক্ষীনারায়ণ কটন মিলস উচ্চ বিদ্যালয়ে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো.মনির হোসেন মাদবর গত কয়েকদিন পুর্বে তার ছেলে রুবেল মাদবর ইয়াবাসহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির তদবিরে মনির মাদবর ডিবি পুলিশ মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে রক্ষা পেলেও তার ছেলে রুবেল মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরন করা হয়েছিলো। অপর সদস্য দিল মো.দিলুর নেতুত্বে প্রতিদিন তার রেললাইন আদর্শ বাজার অফিসে জুয়ার আসর বসে।
অন্যথায় তার ঘরে চুলোয় আগুন জ্বলে না। কয়েকদিন আগে তার বিরুদ্ধে রেল লাইন আদর্শ বাজার জামে মসজিদের টাকা আতœসাতের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিলো। তিনি বর্তমানে প্রায় ২৫/৩০ লক্ষ টাকার দেনার দায়ে জর্জরিত। স্থানীয় অভিভাবকদের দাবী,তাদের মত অন্যায়কারীরা কিভাবে একটি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য পদে নির্বাচিত হয় তা আমাদের বোধগম্য হয়না। তবে প্রভাবশালীদের সাথে সুসর্ম্পক থাকার ফলে এ সকল অপরাধীরা সমাজের ভালস্থানে যেতে পারে বলে অভিমত অনেকের।
এ বিষয়ে উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,নির্বাচনের আরও প্রায় ২ মাস বাকী রয়েছে। তাছাড়া উক্ত প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে রয়েছে এমপি পতœী লিপি ওসমান। কবে নাগাদ নির্বাচন তা সুস্পষ্ট জানতে হবে।