নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে নারী উত্ত্যক্তকারী গ্যাংস্টার গ্রুপের সাত সদস্যকে অস্ত্র গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১’র সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) গভীর রাতে ফতুল্লার উত্তর ইসদাইর গাবতলী এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, তিন রাউন্ড পিস্তলের গুলি, দুইটি চাপাতি, একটি চাইনিজ কুড়াল, দুইটি চাকু ও দুইটি গোলতি উদ্ধার করা হয়েছে।
একই দিন বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজীনগরে অবস্থিত র্যাব-১১’র সদর দপ্তর থেকে মিডিয়া অফিসার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন (পিপিএম) স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়।
ধৃতরা হলো, আল আমিন (৩৪), রফিক (৫২), আবির (২৯), ইমরান (৫১), আবির হোসেন (২৮), রুবেল (২৮) ও মামুন হোসেন ওরফে শাওন (৩০)।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা গেছে , গ্রেফতারকৃতরা সকলেই গ্যাংস্টার গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন ভাবে ওই এলাকার বিভিন্ন বয়সী নারীদের শ্লীলতাহানি করে আসছে। বিশেষ করে পোষাক শিল্পগামী নারীদের উত্ত্যক্ত ও শ্ল¬ীলতাহানির অভিযোগ প্রবল। তাদের এই প্রুপের নেতা গাবতলী নতুন বাজার এলাকার উজ্জল নামের এক সন্ত্রাসী। উজ্জল পলাতক রয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরো জানায়, গ্যাংস্টার গ্রুপের সদস্যরা দীর্ঘদিন যাবৎ গাবতলী এলাকায় সন্ত্রাসী ও ছিনতাই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তারা সাধারণ জনগনের সাথে থাকা ব্যাগ, মোবাইল ফোন, মহিলাদের ভ্যানিটি ব্যাগ চাকু বা ব্লেড দিয়ে কেটে ভেতরে থাকা মালামাল ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ছাড়াও এলাকায় কোন অপরিচিত লোক আসলে তাদেরকে নানাভাবে হেনস্থা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করতো।
এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কারণে দীর্ঘদিন যাবৎ অত্র ব্যাটালিয়নের একটি বিশেষ দল গ্যাংস্টার গ্রুপের সদস্যদের উপর গোয়েন্দা নজরদারী চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও র্যাব নিশ্চিত করেছে