আবরার হত্যাকারীরা ছাত্রলীগ পরিচয়ের হলেও প্রধানমন্ত্রী কাউকে ছাড় দেননি। হত্যাকান্ডের পরই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ছাত্র শিক্ষকদের যে দাবি তাও মেনে নেয়া হয়েছে। শুদ্ধি অভিযানের মতই কে কোন দলের সেটা বিবেচনায় ছাড় না দিয়ে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সেটা বিবেচনায় নিয়েই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দলের কেউ থাকলেও তাদের ছাড় দেয়া হবে না।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মেঘনা ঘাট এলাকায় সড়কের উন্নয়ন কাজ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নতুন সম্মেলন মানেই নতুন মুখ আর আওয়ামীলীগের সম্মেলনের ব্যাপারে কোন আপোষ নেই। যথাসময়ে সম্মেলন হয় আর এবারো যথাসময়ে সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রবীন তরুণ অভিজ্ঞদের সমন্বয় ঘটিয়ে আমরা দলকে সামনে দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। এখানে পরিবর্তন হবে, নতুন মুখ আসবে।
তিনি বলেন, সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলনের বয়স অনেক বেশি হয়েছে গেছে। ৭,৮,৯ বছর হয়েছে তাই সম্মেলন করা অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে। সম্মেলনে দলকে ঢেলে সাজানো হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, বিরোধীদল কনষ্ট্রাক্টিভ ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করবে। আমরাও তাদের ব্যাপারে অনেক সহনশীল। বিএনপির ৭জন সংসদ সদস্য থাকার পরও একজন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য দেওয়া হয়েছে। বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা পার্লামেন্টের ভেতরে বাইরে যা খুশি বলছেন। বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। কোন বাধা দেয়া হচ্ছে না।
যে সহনশীল আচরণ করা হচ্ছে তা শেখ হাসিনা সরকার আছে বলেই করা হচ্ছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগ, পুলিশ ও বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।