মানুষের অধিকার আদায়ে রাজপথে থাকবে ছাত্রদল: সাহেদ আহমেদ
বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্রদল। বুধবার (৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১ টায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব সংলগ্ন এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সাহেদ আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মশিউর রহমান রনি, মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান, মোঃ রাসেল, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক মশিউর রহমান শান্ত, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলামিন প্রধান, জেলা ছাত্রদল নেতা শরিফ হোসেন মানিক।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মশিউর রহমান রনি বলেন, আবরার ফাহাদ দেশের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের হাতে অকালে প্রান হারিয়েছে। আমরা জেলা ও মহানগর ছাত্রদল এই হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে এই হত্যার হুকুম দাতাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এসময় তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, শেখ হাসিনা সরকার নীতিগত আদর্শ থেকে সরে গেছে যেমনটা করেছিলো শেখ মুজিবুর রহমান। তৎকালিন সময় শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে মানুষের কথা বলার অধিকার ছিলো না। যে আর্দশ নিয়ে দেশ স্বাধীন হয়ে ছিলো, সেই আর্দশ থেকে সড়ে যাওয়ার কারনেই শেখ মুজিবকে তার দলের নেতারা তাকে হত্যা করেছে। ঠিক একই ভাবে এই ছাত্রলীগই শেখ হাসিনাকে হত্যা করবে।
সভাপতির বক্তব্যে সাহেদ আহমেদ বলেন, ৭১ সালে পাকিস্তানীরা যেভাবে দেশকে পরাধীন করে রেখে ছিলো। ঠিক একই ভাবে শেখ হাসিনা সরকার দেশ ও দেশের মানুষকে পরাধীন করে রেখেছে। আজকে দেশের স্বাধীনতা রক্ষার সংগ্রামে নেমেছে ছাত্র সমাজ আর তাদের নেতৃত্বে থাকবে ছাত্রদল। মানুষের ন্যায অধিকার আদায় না করা পযর্ন্ত ছাত্রদল রাজপথে থাকবে।
জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান শান্ত বলেন, এখন ছাত্রলীগ একটি জঙ্গী ও সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিনত হয়েছে। মানুষ হত্যা করা তাদের নেশায় পরিনত হয়ে গেছে। তারা প্রকাশ্যে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সহ মানুষের উপর একের পর এক হামলা করে যাচ্ছে। অথচ কোন বিচার হচ্ছে না। আমরা এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে দাবি জানাচ্ছি ছাত্রলীগের রাজনীতি এই দেশে থেকে নিষিধ করতে হবে।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব সংলগ্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা দিয়ে এই সংগঠন বিরোধী শ্লোগান দিতে থাকে। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি চাষাড়া বিজয় স্তম্বর সামনে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলো, মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি হামিদুর রহমান সুমন, শাহিন শরীফ, শাকিল মিয়া, মাসুদ, আশিকুর রহমান, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহমুদুল্লাহ, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন রিক্সন, আরিফ খান, আব্দুল কাদির, মুক্তাধির হৃদয় সহ ছাত্রদল নেতা সফিক সরকার, কায়েস আহম্মেদ, ওমর ফারুক, শান্ত, পরান, ইমরান হিমু, শরিফ, পাপ্পু, আল আমিন, মুরাদ হাসান প্রমূখ।