নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে বির্তকৃত নেতা এ্যাড. সাখাওয়াত জাকির খানের কাধে ভর করে নেতা বনে গেছেন। মহানগর বিএনপির পুর্নাঙ্গ তালিকায় নিজের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হলেও সেখানে স্থান পায়নি জাকির। অথচ জাকির সমর্থিত নেতা ও কর্মীদের ব্যবহার করে মূল স্রোতের বাইরে বিভক্তির রাজনীতি করেছেন বেশ জোড়ে সোড়ে।
ব্যক্তিগত ভাবে নিজে কর্মী শূন্য হলেও সাবেক জেলা ছাত্র দলের সভাপতি জাকির খানের কর্মী বাহিনী নিয়ে মাঠ ধাপরানো কৌশল অবলম্বন করে গেছেন নিজের লাভে। আর সেই সুকৌশলে নিজের সফলতার কিছুটা অবস্থান ধরে রাখতে পারলেও, সেখানে রাখেননি সাবেক এই ছাত্রদলের নেতাকে।
এদিকে, বিগত দিনে নাসিক নির্বাচনে বর্তমান মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এ্যাড. আবুল কালাম সহ দলের সিনিয়র নেতাদের সমর্থনে দলের টিকেট পেয়ে মেয়র পদে নির্বাচনে অংশগ্রহনের সুযোগ পান। তবে সেখানেও ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁত করে মোটা অংকের বিনিময় দলের সাথে বৈঈমানী করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আর তার এই কর্মকান্ডের বিষয় নেতা ও কর্মীরা অবগত হওয়ার পর থেকেই মূল সংগঠনের বাইরে চলে যান র্বিতকিত এই নেতা। এছাড়াও আইনজীবি সমিতির নির্বাচনে দলের সাথে বৈঈমানী করে ক্ষমতাশীনদের সাথে গোপনে হাত মিলানোর অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে।
ঠিক একই কায়দায় সাবেক জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাকির খাঁনের বিশাল কর্মী বাহিনীদের ব্যবহার করে মহানগর বিএনপির পুর্নাঙ্গ কমিটিতে সাখাওয়াত নিজের অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হলেও, সেখানে রাখা হয়নি সাবেক এই ছাত্রদলের নেতাকে।
এ্যাড. সাখাওয়াতে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ধারাবাহিকতার সহিত বিভিন্ন সংগঠন ও নেতাদের ব্যবহার করে নিজের অবস্থান বা পকেট ভাড়ি করতে সফল হলেও বৈইমানীর ধারপ্রান্তে চলে আসেন সকল ক্ষেত্রে।
এ বিষয় মহানগর বিএনপির নেতা ও কর্মীরা বলেন, নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে বির্তকিত নেতা হিসেবে পরিচিত এ্যাড.সাখাওয়াত এবারও জাকির খানের সাথে বৈঈমানী করে নিজের আখের গুছিয়ে নিলেন।
মুলদলের বাহিরে গিয়ে রাজনীতি করে আসা কর্মীশূন্য সাখাওয়াত সাবেক ছাত্রনেতা জাকির খানের কাধের উপর ভর করে নিজের অবস্থান শক্ত করে নিয়েছেন। আর জাকির খানকে রেখেছেন রাজনীতির বাহিরে। এটার তার বিগত দিনের কৌশলী রাজনীতির একটা অংশ।
তার মত পল্টি মার্কা নেতারা দলের জন্য কিছু করতে সক্ষম না হলেও, দল ও নেতাকর্মীদের ব্যবহার করে নিজে লাভবান হন সব সময়। সেটার প্রমান আবারও রাখলো মহানগর বিএনপির পুর্নাঙ্গ কমিটির মধ্য দিয়ে।