সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজে ছাত্রলীগের টর্চার সেল রয়েছে, আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন চাই। আমরা এই খুনি চেহারার পরিবর্তন চাই। এক নেতা এক দেশ; আমরা এর পরিবর্তন চাই। বর্তমানে অবস্থা এমন হয়েছে যে, এরশাদের স্বৈরশাসনে থেকে দেশ বেশি স্বৈরশাসনের মধ্যে চলে গেছে। আমরা এর পরিবর্তন চাই।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর ) বিকেল সাড়ে ৪টায় চাষাঢ়ায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, এ দেশের ১৮ কোটি মানুষ সবাই চোখে চশমা পড়ে থাকে না। আপনি জানেন না কেন জনগণ আপনাকে ভোট দিতে চায় না। জনগণ ভোট দিতে চায় না বলে আপনি ভারতে গিয়েছেন, তাদের সমর্থনের জন্য। কেন ভোট দিতে চায় না আপনি তা বিশ্লেষন না করে আপনি আপনার পেটোয়া বাহিনী দিয়ে ভিন্নমত দমনে নামেন। যখন আপনার পেটোয়া বাহিনী দানব হয়ে আপনাকে খেতে চায় তখনই আপনি দৃশ্যমান দুই-চারটা ঘটনা ঘটান।
আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনায় তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের এই চরিত্র তার দলের সবাই জানে। জানে বলেই বিশ^বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যারা রয়েছে তারা নির্লজ্জ, বেহায়া ও অমানবিক। একটি ছেলেকে ৬ ঘন্টা পিটিয়ে, নির্যাতন করে তারপরও তাকে দেখতে যায় না। সে হচ্ছে বুয়েটের ভিসি, সে অভিভাবক। এদের বিশ^বিদ্যালয়ে রেখে আমরা আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত করবো? একই অবস্থা এই নারায়ণগঞ্জের। তোলারাম কলেজে ছাত্রলীগের টর্চার সেল রয়েছে।
এখানে যে ভাইস প্রিন্সিপাল রয়েছে সে কলেজ ছাত্রলীগের কথায় এবং ছাত্রলীগ শামীম ওসমানের কথায় উঠবস করে। এই টর্চার সেলে নির্যাতন করা হলে বুয়েটের ভিসির মতো সেও চোখে দেখে না। কেন? কারণ নির্যাতন করেছে ছাত্রলীগ, শামীম ওসমানের গুন্ডা বাহিনী। সুতরাং এর বিরুদ্ধে বলা যাবে না, দেখাও যাবে না।’
সম্প্রতি ভারতের সাথে করা প্রধানমন্ত্রীর বেশ কয়েকটি চুক্তির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যে চুক্তি গুলো প্রধানমন্ত্রী করেছেন সেগুলো কাউকে না জানিয়ে কীভাবে করেন। তিনি নিজেকে সবচেয়ে বেশি দেশপ্রেমী বলে দাবি করেন। তার দ্বারা বাংলাদেশের কোনো ক্ষতি হতে পারে না। তাহলে কী কারণে জনগণকে না জানিয়ে, তাদের সামনে উপস্থাপন না করে অন্ধকারে এ চুক্তি করা হলো? এখানে বাংলাদেশের কোন স্বার্থ আছে আমরা তা স্পষ্ট করে দেখতে চাই।’
সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্য সচিব হালিম আজাদ, নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায়, সহ-সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল, খেলাঘর আসরের সভাপতি রথীন চক্রবর্তী, সমমনার সভাপতি দুলাল সাহা, জেলা ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক এড. আওলাদ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন প্রমুখ।