নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে কৌশলগত দিক দিয়ে সিনিয়রদের চেয়ে বেশ জোড়ে সোরে এগিয়ে যাচ্ছেন নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব দান দানকারী উদীয়মান নেতারা।আর এই সকল নেতৃত্ব স্থান দখল করা নেতাদের বিরুদ্ধে নেই তেমন কোন বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগ।
এ সকল তরুন নেতাদের মধ্যে যারা বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের অর্ন্তভুক্ত তাদের মধ্যে বেশ দাপটিয় কায়দায় সমালোচনা ছাড়াই সুনামের সাথে রাজপথে আছেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানি। শুধু তাই নয় সারা দেশে যখন ছাত্রলীগকে নিয়ে নানা অপকর্মের তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ হতে থাকে।
তখনও রাজনীতির পাশাপাশি সামাজিক কাজে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে সাবেক এই কমিটির নেতৃবৃন্দরা। সাবেক জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে নেতৃত্ব দেয়া সভাপতি শেখ সাফায়েত আলম সানি ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান সুজনের নেতৃত্বে থাকা কমিটির সকল নেতা ও কর্মীরাও একই পথে হেটেছেন। সেই সাথে প্রতিটি নেতাই সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিতেও সক্ষম হয়েছেন।
এদিকে, বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের কমিটির বয়স এক বছর ৪ মাস অতি বাহিত হলেও তেমন কোন সফলতা দেখাতে পারেনি। তবে এই কমিটির সভাপতি আব্দুল আজিজ সুনামের সাথেই তার সাংগঠনিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। যা আগামী দিনে তার রাজনৈতিক পথকে আরও সুগম করবে বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লষকরা।
অপরদিকে, প্রায় ৩য় দফা ক্ষমতার বাহিরে থাকা বিএনপির সহযোগী সংগঠন গুলোর তরুন নেতৃবৃন্দরা রাজনৈতিক মামলা হামলার শিকার হওয়ার পরও দল থেকে পিছু হটেননি। বর্তমান নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতৃত্ব দেয়া সিনিয়র নেতাদের চেয়ে এই তরুন উদীয়মান নেতারা দলকে সাংগঠনিক ভাবে শক্তিশালী করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন বেশ জোড়ে সোড়ে।
এই সকল তরুন নেতৃবৃন্দদের মধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউছার আশা, মহানগর ছাত্র দলের সভাপতি সাহেদ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক মমিনুর রহমান বাবু। যারা রাজনৈতিক অঙ্গনে মামলা হামলার শিকার হয়েও সাংগঠনিক ভাবে নিজেদের পাশা পাশি সংগঠনকে চাঙ্গা করে রেখেছেন পাদর্শীতার সহিত।
তবে মজার বিষয় হলো, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত রানা পদ ভাগিয়ে আনতে সক্ষম হলেও হয়ে আছেন একঘরে। গুরুত্বপুর্ন পদে থাকলেও সংগঠনটিকে শক্তিশালী করার পিছনে নেই তার পরিশ্রম। উল্টো মাদক ব্যবসায়ী হওয়ার অভিযোগে বেশীর ভাগ সময় থাকেন আত্মগোপনে। ফলে সংগঠনের সকল কাজ একাই করে যাচ্ছেন সভাপতি আবুল কাউছার আশা আর তাকে সহযোগীতা করছেন কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।
এদিকে, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের ক্ষেত্রে ঘটছে ঠিক উল্টো। বেশ কয়েক দিন পুর্বে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমানের বাড়ি থেকে মাদক সহ আটক করা হয় আওয়ামী লীগের নেত্রীর ছেলেকে। ঠিক একই ধারায় সভাপতি আনোয়ার সাহাদাত সায়েম সমালোচনায় জড়িয়ে পড়েছে ক্যাসিনো ব্যবসায়ী ও তার খালাতো ভাই সেলিম প্রধানের কারনে। সেই দিক দিয়ে এই সংগঠনের নেতাদের সমালোচনার কোন কমতি নেই।
অপরদিকে, জেলা ছাত্র দলের ক্ষেত্রে সভাপতি মশিউর রহমান রনি নিজের কমিটিকে পুর্নাঙ্গ রুপ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন ঢাকঢোল পিটিয়ে। এক কথায় বলা চলে আওয়ামী পরিবারের সন্তান রনি ঘর গুছাতে ব্যর্থ হওয়ার পরও দেশ গুছাতে মরিয়া হয়ে উঠে ছিলেন। সে নিজের কমিটিকে সাজাতে না পড়লেও কেন্দ্রীয় ছাত্র দলের পদের লোভ সামাল দিতে পারেনি। তবে সেখান থেকেও মুখথুবড়ে পড়েছেন ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে আসা এই নেতা।
আর সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম সজিব যার স্বপ্ন ছিলো সোনারাগাঁ থানা কমিটির পদে থাকার। কিন্তু বাবার অর্থের জোড়ে সোনার হরিণ “জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদ” হাতে পেয়ে গেছেন। তবে এখন পযর্ন্ত কোন পারদর্শীতা দেখাতে সক্ষম হননি। শুরু থেকে দিয়ে যাচ্ছেন ব্যর্থতার পরিচয়।
সব মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও রাজপথে আন্দোলনে থাকা বিএনপি এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃত্ব দেয়া উদীয়মান তরুন রাজনীতি বিদরাই আগামী দিনে নারায়ণগঞ্জের নেতৃত্ব দিয়ে তাদের ধারাবাহিতকা অব্যাহত রাখবে। সেই সাথে এই সকল নেতৃত্বের মাধ্যমেই নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে সুবাতাস বইবে বলে আশা করেন বিশ্লেষকরা।