# সে কয়টা দলের ইজারা নিছে ? খোরশেদ
# কোন বির্তকিত নেতাকে সুযোগ নিতে দিবো না: রানা
# আমার সংগঠনে নজর দিলে রাজনৈতিক ভাবে প্রতিহত করবো: আশা
নারায়ণগঞ্জ বিএনপির রাজনীতিতে সরকার দলীয় নেতাদের সাথে আতাঁতের অভিযোগে সকলের কাছে পরিচিত মুখ মহানগর বিএনপি নেতা এ্যাড. সাখাওয়াত। মহানগর বিএনপির আংশিক কমিটি ঘোষণার কিছু দিন পর থেকেই হাইব্রিট খ্যাত এই নেতা দলের মধ্যে বিভেদের রাজনীতি শুরু করে। তবে সেটা ছিলো মহানগর বিএনপি পর্যন্ত। পদহীন গুটি কয়েক নেতাদের নিয়ে প্রকাশ্যে বিভেদের রাজনীতি করা সাখাওয়াতের নজর এবার সহযোগী সংগঠনের দিকে।
নিজের আইনী পেশা ব্যবহার করে দলের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক মামলা পরিচালনার কৌশল অবলম্বন করে গুটি কয়েক নেতাকে মুঠোবন্ধি করে রেখেছেন। আর ইচ্ছে না থাকা সত্ত্বেও নিজেদের আইনের মারপ্যাচ থেকে মুক্ত করতেই কিছু নেতা তার তালু বন্ধি হয়ে আছেন।
ইতিমধ্যেই তার বিভেদের কৌশলতার ধু¤্রজালে তালুবন্ধি হয়ে পড়েছে জেলা বিএনপি ও যুবদল, মহানগর যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দল, জেলা ও মহানগর মৎসজীবী দল ও মহানগর ছাত্র দলের গুটি কয়েক নেতা।
তবে সব কিছুকে হারমানিয়ে বেশীর ভাগই গ্রাস করে নিয়েছে সাবেক জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাকির খানের সমর্থিত নেতা ও কর্মীদের। জাকির খানকে ব্যবহার করেই সাখাওয়াত ফুলে ফেপে কলা গাছ হতে চাইছেন। তবে সাবেক এই ছাত্র নেতাকে ব্যবহার করে যতটা লাভবান হচ্ছেন সাখাওয়াত তার ছিটে ফোটাও পাচ্ছেন না জাকির সমর্থিতরা।
এদিকে, এ্যাড. সাখাওয়াতের বিভেদের রাজনীতি ওক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁতের বিষয় তীব্র সমালোচনা করছেন স্থানীয় নেতারা যা বিগত দিনে মিডিয়াতে প্রকাশ হয়েছে বেশ জোড়ে সোড়ে। তবে তার এই নোংরা রাজনীতির সমালোচনা করে বর্তমান বিএনপি সহযোগী সংগঠনের নেতারা করছেন স্পষ্ট প্রতিবাদ।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল বলেন, আমরা দলীয় কর্মসূচি পালন করতে পারছি না এটা আমাদের ব্যর্থতা। আর সে পারছে এটা তার সফলতা। পুলিশ আমাদের ১ মিনিট সময় দেয় না এটা আমাদের র্দুভাগ্য, আর সে তার ইচ্ছে মত করতে পারে পুলিশ তাকে বাঁধা দেয় না সেটা তার সৌভাগ্য!
মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ বলেন, আমি এ বিষয় কিছু বলবো না তবে সাংবাদিকদের মাধ্যমে কয়েকটি প্রশ্ন করতে চাই। সে কয়টা দলের ইজারা নিয়েছে ?, আমরা মূল সংগঠন কোন কর্মসূচি পালন করতে পারি না অথচ তিনি করতে পারে এতে কি ? বুঝা যায় এখানে কি ? ঘটছে, সে কি নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠনের রাজনীতি একাই করতে চায়, তাহলে সে কি ? নারায়ণগঞ্জ বিএনপির মা-বাপ!
মহানগর যুবদলের সহ-সভাপতি নাজমুল হক রানা বলেন, রাজনীতিতে মত পার্থক্য থাকতে পারে সেটা আলাদা বিষয়। যেটা আমাদের সাথে খোরশেদের রয়েছে। তাই বলে কোন বির্তকিত নেতা সেই সুযোগ কাজে লাগাবে সেটা আমরা হতে দিবো না। যুবদলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আমাদের মহানগর যুবদলের র্যালী হয়েছে।
সেখানে সাখাওয়াতের উপস্থিতি আমার কাম্য নিলো না। কারন সে ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁত করে দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে, এটা নারায়ণগঞ্জের সকল রাজনীতি বিদদের কাছে পরিষ্কার। তার মত নেতা আমার অজান্তে আমাদের র্যালীতে উপস্থিত হওয়াতে আমি লজ্জিত। ভবিষ্যত্বে এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেই দিকে খেয়াল রাখবো।
এ বিষয় মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবুল কাউছার আশা বলেন, আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আর্দশের রাজনীতি করি দেশ ও দশের কল্যানে। ব্যক্তি কেন্দ্রীক রাজনীতিতে আমরা অবস্ত্য নই। ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁত করে ফায়দা হাসিল করলে নিজে সাময়িক ভাবে লাভবান হওয়া যায়। কিন্তু সেটা দলের ক্ষতি ছাড়া কোন উপকারে আসে না।
দলের এই দুঃসময়ে কারা ক্ষমতাশীনদের সাথে আতাঁত করে বিভেদ সৃষ্টি করছে। এটা সকলের কাছেই উন্মোচিত, তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। তবে কেউ যদি আমার সংগঠনের মধ্যে কোন্দল সৃষ্টি করার জন্য নজর দেয় তাহলে তাকে রাজনৈতিক ভাবে পতিহত করা হবে।