নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় অটোরিক্সার চাপায় সিএনজি চালক নজরুল ইসলাম (৫০) নামে ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
২৫ অক্টোবর শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। নিহত সিএনজি চালক নজরুল ইসলাম নজু বন্দর থানার দড়ি-সোনাকান্দাস্থ শহর আলী মিয়া বাড়ি ভাড়াটিয়া ও উক্ত এলাকার মৃত তমিজ উদ্দিন মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৭টায় সিএনজি চালক নজু মিয়া প্রয়োজনীয় কাজের জন্য বাসা থেকে বের হয়ে দড়ি-সোনাকান্দা মোড়ে লিটন মিয়ার গ্যারেজের সামনে আসে। ওই সময় কল্যান্দী এলাকার ঘাতক অটোচালক হামিদুল মিয়া লিটনের গ্যারেজ থেকে অটোরিক্সা বের করার সময় সিএনজি চালক নজুকে ধাক্কা দিলে সে সাথে সাথে মাটিতে লুটে পরে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী মুমুর্ষ অবস্থায় নজুকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাত সাড়ে ১০টায় শেষ নিঃশাস ত্যাগ করেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানায়, এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা শনিবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বন্দর – কলাগাছিয়া রুট ও মদনগঞ্জ রুটে সিএনজি, অটো ইজিবাইক চলাচল বন্ধ করে দেয়।
এ ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদ ও বন্দর সিএনজি ও অটো ইজিবাইক শ্রমিক সমিতির সভাপতি খান মাসুদ দুপুরে সমস্যা সমধানের জন্য সমযতার বৈঠক বসে। বৈঠকে ঘাতক অটো চালক হামিদুলকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ ও বন্দর সিএনজি ও অটোচালক সমিতি থেকে ৫৬ হাজার টাকা ক্ষতি পূরনের আশ্বাস দেন।
হামিদুল তিন ধাপে টাকা দিবেন। নভেম্বর মাসের ৩ তারিখে ৫০ হাজার, ১৫ তারিখে ৩০ হাজার ও ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখে বাকি ৩০ হাজার টাকা দিবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়। অটো চালকের স্ত্রী নাসিমা কিস্তি হতে টাকা তুলে তা পরিশোধ করবে বলে নাসিমা বেগম জানান।
এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।