নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, মাদক ব্যবসায়ী যে ভাইয়ের লোকই হোক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। এ সকল ব্যবসায়ীদের খবর পেলেই পুলিশকে খবর দিবেন। এরপর যদি কোন পুলিশ তাৎক্ষণিক কোন ব্যবস্থা না নেয় তাহলে সেই পুলিশের ব্যাপারেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে পুলিশকেও ছাড় দেয়া হবে না।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১২টায় চাষাঢ়ায় শহীদ মিনারে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জের কোন এমপি, মন্ত্রী আমাকে বলে নাই আমার কোন লোক মাদক ব্যবসা ও ভূমিদস্যুতা করলে তাকে ছাড় দিবেন। তাহলে আপনাদের কিসের ভয়।পুলিশকে কারো কাছে লিজ দেয়া হয় নাই। পুলিশ পুলিশের মত কাজ করবে। পুলিশ আইজি একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর কথায় চলবে আর কারোর কথায় না।
তিনি আরও বলেন, কিছু উঠতি বয়সী ছেলে স্কুল, কলেজে না গিয়ে ইভটিজিংয়ে লিপ্ত হচ্ছে। পরবর্তীতে এইসব ছেলেরাই পরবর্তীতে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে মিশে যাচ্ছে। তাদের দিয়েই পরে তারা মাদক ব্যবসার চালান করছে। এইসব ঘটনায় কিছু কিছু ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নাম ও আমাদের কাছে আসে। ঐসব ওয়ার্ড কাউন্সিলররা মাদক ব্যবসা করে কিনা তা আমাদের কাছে তথ্য আসে। তারা এই কিশোর গ্যাংকে ইউজ করতে চায়। আমরা কোন ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে ছাড় দিচ্ছি না।
এই রকম ছেলেদের ব্যাপারে যদি কোন তথ্য আপনাদের কাছে থাকে আমাদের দিবেন। আইনি প্রক্রিয়ায় যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হয় কোন ওয়ার্ড কাউন্সিলর, মেম্বার সে যেই পদে থাকুক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) সুবাস চন্দ্র সাহা, সদর মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান, ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন,
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি কামরুল ফারুক, বন্দর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম, রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসান, কমিউনিটি পুলিশিং মহানগরের সভাপতি মো. সোলায়মান, সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী লায়ন মো. মোজাম্মেল হক, জেলা কমিউিনিটি পুলিশিংয়ের সহ সভাপতি এটিএম মোস্তফা কামাল প্রমুখ।