শেখ রাসেলের ৫৫ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দরিদ্র ছেলেদের সুন্নতে খাৎনা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ফতুল্লা বঙ্গবন্ধু দুস্থ কল্যাণ সংস্থা।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় মুসলিম নগর এতিমখানা বাজারে এই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু দুস্থ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মো.মাহবুব রহমানের সভাপতিত্বে শহীদ শেখ রাসেলের ৫৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু দুস্থ কল্যাণ সংস্থার উপদেষ্টা মো.লুৎফর রহমান স্বপন বলেন, আজকে শেখ রাসেলে ৫৫ তম জন্মদিন।তার জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় কেক কেটে আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে আয়োজন করা হবে জন্মদিন। আমার জানা মতে,একজন মৃত ব্যক্তির কাছে আনন্দ উৎসব কিছুই পৌঁছায় না।
একজন মৃত ব্যক্তির কাছে পৌঁছায় তার আমল নামা আর সদগা, জারিয়াত,এবং মানুষের দোয়া।আজকের দিনে শেখ রাসেলে জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল, কোরআন খতম করা হয়েছে, এবং বিনা মূল্যে গরীব দরিদ্র ছেলেদের একটি ঘামছা,লুঙ্গি,গেঞ্জি প্রদান করে তাদের সুন্নতে খাৎনার আয়োজন করেছে ফতুল্লা বঙ্গবন্ধু দুস্থ কল্যাণ সংস্থা।
লুৎফর রহমান স্বপন আরও বলেন, আজকে আমরা গতানুগতির বাহিরে গিয়ে শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন করছি। শেখ রাসেল কে ছিলেন হয়ত এ প্রজন্মের অনেকেই তা জানেন না। ৮ বছরের বয়সের একটি শিশু ছিল শেখ রাসেল। কিন্তু সেই পাকিস্তানি পেতআত্মাদের দোসর, ঘাতক খুনি চক্র ষড়যন্ত্রকারীরা এই বাংলাদেশকে পিঁছিয়ে দেওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুর সপরিবারকে হত্যা করেছিল।
বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশের অস্থিত বিলিন করে দেওয়ার জন্য সেই ৭১ এর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পাকিস্তানি পেতআত্মাদের সহযোগিতায় কিছু বিপদগামী সেনাবাহিনী পাকিস্তানী অফিসার বঙ্গবন্ধুর সপরিবারকে হত্যা করে ছিল।সেই সময় ৮ বছরের ছোট্ট শিশু রাসেলকে তার কলিজা বের নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছিল।শুধু বাংলাদেশ থেকে মুজিববাদী আদর্শ, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বিলীন করার জন্য।
তার পরিবারকে ধ্বংস করার মাধ্যমে তা করতে চেয়েছিল।কিন্তু তারা ভূলে গিয়েছিলো বঙ্গবন্ধু হত্যা করলেও বাংলার মাটি থেকে তার অস্তিত্ব কখনো বিলীন হবে না।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এফ.সি.এফ সাধারণ সম্পাদক মো.জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ শ্রমিক লীগ ফতুল্লা থানা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি সিরাজউদ্দিন জনি,বিশিষ্ট সাংবাদিক সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি,মোকলেছুর রহমান তোতা প্রমূখ।