নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক যুবককে প্রান নাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত ১১ অক্টোবর মহানগরের ৪নং ওয়ার্ডের আটি এলাকার লাট মিয়ার ছেলে মো: পারভেজ বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার জিডি নং-৫৫৮। থানায় ডায়েরী করার পর থেকে অভিযুক্তরা বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে এলাকায় মহড়া দেয়ায় জীবনের চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বাদীর পরিবার।
অভিযুক্তরা হলো, একই ওয়ার্ডের আটিগ্রাম এলাকার মৃত হারুনুর রশিদের ছেলে জিতু (৩২) ও জিতুর দুলাভাই মিলন (৩৮)।
সাধারন ডায়রী সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা এলাকার খারাপ প্রকৃতির লোক। তারা ইতিপূর্বে শিমরাইল-আদমজী-চাষাড়া সড়কের আউলাবন এলাকাস্থ রংধনু সিনেমা হলে অশ্লিল চলচ্চিত্র প্রদর্শনের পাশাপাশি পতিতা দিয়ে দেহব্যবসা পরিচালনা করতো। এতে এ অঞ্চলের যুবসমাজের মধ্যে একটি খারাপ প্রভাব বিস্তার করতে থাকে। ফলে স্থানীয় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।
এই সিনেমা হলের নোংরা চলচ্চিত্র প্রদর্শন এবং অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে এলাকার যত মসজিদ রয়েছে সকল মসজিদ কমিটির নেতৃবৃন্ধ এবং মুসল্লিরা পারভেজের মামা কবির হোসেনের নেতৃত্বে আন্দোলন শুরু করে। পরবর্তীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় এ সিনেমা হলটি বন্ধ করে দেয়া হয়।
তারপর থেকে এ অপকর্মের হোতা জিতু-মিলন গং কবিরের ভাগিনা পারভেজদের প্রতি শত্রুতা পোষন করে ক্ষতি সাধন করার প্রয়াসে এলাকায় বহিরাগত সন্ত্রাসী নিয়ে মহড়া দিতে থাকে। গত ৫ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৩টায় উক্ত জিতু গং এলাকায় মহড়া দিতে থাকে এবং তাকে উদ্দেশ্য করে গালাগালি করতে থাকে।
এসময় উপস্থিত স্থানীয়দের সামনে গালাগালির কারণ জানতে চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তার পরিহিত জামার কলার ধরে টানা হেচড়াসহ মারধর করে জখম করে। তখন তার ছোটভাই হৃদয় আগাইয়া আসিলে তাকেও মারধর করে। তাদের এহেন কর্মকান্ডে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে জিতু গং ঘটনাস্থল ত্যাগ করে এবং পুনরায় সুযোগ পেলে তাদের দুই ভাইকে মেরে পানিতে ভাসিয়ে দিবে বলে ভয়-ভীতি দেখায়। তাই বর্তমানে ওই পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
এ ব্যাপারে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক জানায়, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমি যত দিন এ থানায় রয়েছি ততদিন কাউকে কোন অপকর্ম করার সুযোগ দেয়া হবে না।